কলকাতা : তীব্র তাপপ্রবাহের পর সাময়িক স্বস্তি দিয়ে ঝড় ও বৃষ্টি। কিন্তু আবার বাড়তে শুরু করেছে তাপমাত্রা। ফের একবার তীব্র তাপপ্রবাহের আতঙ্কে ভুগছে রাজ্যবাসী। তবে এরই মধ্যে পাওয়া গিয়েছে ভাল খবর। এবার দেশে বর্ষা আসছে তাড়াতাড়ি। আর তার ফলে এ রাজ্যেও বর্ষা আসবে নির্ধারিত সময়ের আগে। আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর বর্ষারবৃষ্টি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হতে চলেছে। এ বছর বর্ষায় গড় বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে মনে করছে আবহাওয়া দফতর। স্বাভাবিক সময়ের আগেই ১৯ মে আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে বর্ষা প্রবেশ করতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।

  


এবার বেশি বৃষ্টি হতে পারে লা নিনার প্রভাবে। আমেরিকার ন্যাশনাল ওশেনিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফিয়ারিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এনওএএ) অনুসারে, লা নিনার প্রভাব আগামী কয়েক মাসের মধ্যে প্রশান্ত মহাসাগরে দেখা যাবে। তার ফলে জুন মাস থেকে বর্ষায় বৃষ্টির দাপট বাড়বে। বৃষ্টির জন্য অনেক রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতিও তৈরি হতে পারে। NOAA-এর মতে, জুন থেকেই ভারতে লা নিনার প্রভাব দেখা যাবে। জুন থেকে অগাস্ট পর্যন্ত এর প্রভাব বাড়বে ৪৯ শতাংশ।  জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত লা নিনা ৬৯ শতাংশ বাড়তে পারে।


কী এই লা নিনা? পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের উপরিভাগে বায়ুর চাপ কম থাকলে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় যাকে বলা হয় লা নিনা। যখন এই পরিস্থিতি দেখা দেয়, তখন সমুদ্র পৃষ্ঠের তাপমাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়।  সারা বিশ্বের তাপমাত্রাকে প্রভাবিত করে এই লা নিনা। এ বছর জুন থেকেই ভারতে লা নিনার প্রভাব দেখা যায়। লা নিনার জন্য গড়ের চেয়ে বেশি বৃষ্টি এবং বেশি ঠান্ডাভাব হওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়। লা নিনার প্রভাব নয় মাস থেকে এক বছর স্থায়ী হতে পারে। 


দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী ১৯ মে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে প্রবেশ করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এর পর এটি কেরলে পৌঁছাবে ১লা জুনের মধ্যে। বঙ্গোপসাগর থেকে ভারতের মূল ভূখণ্ডের দিকে বর্ষা আসার জন্য পরিস্থিতি অনুকূল হয়ে উঠেছে।  তাই আবহবিদরা মনে করছেন, ১৯ মে নাগাদ বর্ষা ভারতের মূল ভূখণ্ডে ঢুকবে।  দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী ১৯ মে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে প্রবেশ করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এর পর এটি কেরলে পৌঁছাবে ১লা জুনের মধ্যে। বঙ্গোপসাগর থেকে ভারতের মূল ভূখণ্ডের দিকে বর্ষা আসার জন্য পরিস্থিতি অনুকূল হয়ে উঠেছে।  তাই আবহবিদরা মনে করছেন, ১৯ মে নাগাদ বর্ষা ভারতের মূল ভূখণ্ডে ঢুকবে। এরপর১৫ জুন, এটি গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগড়, ঝাড়খণ্ড এবং বিহারে পৌঁছতে পারে। বাংলায় কবে বর্ষা ঢুকছে তার নির্দিষ্ট দিন এখনও বলা হয়নি।