নয়াদিল্লি : আশঙ্কা ছিলই । সেইমতেই সবথেকে শুষ্ক অগাস্ট (Driest August) পেতে চলেছে দেশ। এল নিনোর (El Nino) জেরে আবহাওয়ার (Weather) অনিয়মিত গতিপ্রকৃতির কারণেই এই পরিস্থিতি বলে সাম্প্রতিক এক সর্বভারতীয় দৈনিকের প্রতিবেদনে প্রকাশিত। তথ্য অনুযায়ী, এই মাসে বৃষ্টির ঘাটতির পরিমাণ ৩৩ শতাংশের বেশি হতে চলেছে। ২০ দিনের বেশি সময় ধরে বৃষ্টিপাতই হয়নি। যার জেরে এই পরিণতি। এই মাসে বৃষ্টির ঘাটতির প্রভাব পড়তে চলেছে জুন-সেপ্টেম্বরের এই মরসুমে। মঙ্গলবার পর্যন্ত, অগাস্ট মাসে গোটা দেশজুড়ে সার্বিক বৃষ্টির পরিমাণ ১৬০.৩ মিমি।
এর আগে শুষ্কতম অগাস্ট মাস দেখা গিয়েছিল ২০০৫ সালে। সেবার বৃষ্টির পরিমাণ ছিল ১৯১.২ মিমি, প্রত্যাশার থেকে ২৫ শতাংশ কম। মাস শেষ হতে চলল, তাতে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ১৭০-১৭৫ মিমি অতিক্রম করবে না বলে মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, ১৯০১ সালের পর এই প্রথম অগাস্টে বৃষ্টির ঘাটতির পরিমাণ ৩০ শতাংশ অতিক্রম করতে চলেছে। ১০৫ বছরের মধ্যে যা দ্বিতীয়বার।
এর আগে ২০০২ সালের জুলাই মাসে তাৎপর্যপূর্ণভাবে কম ছিল বৃষ্টির ঘাটতি। যা ছিল খুব উদ্বেগজনক। ৫০.৬ শতাংশ। এ প্রসঙ্গে উল্লেখযোগ্য যে, জুলাই ও অগাস্টেই সবথেকে বেশি বৃষ্টি হয়। যা দেশের কৃষিকার্যের জন্য অপরিহার্য। ভারতীয় আবহাওয়া দফতরের Standardised Precipitation Index অনুযায়ী, ভারতের প্রায় ৩১ শতাংশ ভূমি ২৭ জুলাই থেকে ২৩ অগাস্টের মধ্যে বিভিন্ন স্তরের শুষ্ক আবহাওয়ার সঙ্গে লড়াই করছে। এটি কৃষি, ফলন এবং মাটির অবস্থার উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
বৃষ্টির ঘাটতির জেরে গ্রীষ্মে বপন করা ফসলের ফলন নষ্ট হতে পারে। ধান থেকে সয়াবিনের ফলন মার খেতে পারে। ৩ ট্রিলিয়ন ডলার অর্থনীতির জন্য বর্ষা অত্যাবশ্যক। ভারতে জলাধারগুলি ভর্তি করার জন্য প্রয়োজনীয় ৭০ শতাংশ বৃষ্টি সরবরাহ করে এই বর্ষা।
তবে, অগাস্টের শুষ্কতার পরেও IMD প্রধান মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র উল্লেখ করেছেন, ২ সেপ্টেম্বর থেকেই পরিস্থিতির বদল হতে শুরু করবে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে একটি সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় সঞ্চালনের কারণে এই পরিস্থিতি তৈরি হতে চলেছে। একটি নিম্নচাপ পূর্ব, মধ্য ও দক্ষিণ ভারতে প্রভাব ফেলবে। তবে আইএমডি-র তরফেও এই আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে যে, আবহাওয়ার গতিপ্রকৃতিতে প্রভাব ফেলেছে এল নিনো। এই পরিস্থিতিতে সেপ্টেম্বরের মাসের উপরেই নির্ভর করছে অনেক কিছু।