সঞ্চয়ন মিত্র, কলকাতা: আকাশের মুখভার রয়েছে সকাল থেকে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, কলকাতা ও লাগোয়া এলাকায় মাঝারি মাত্রার বৃষ্টি চলবে। সকাল সওয়া আটটা থেকে থেকে শুরু করে আগামী ২-৩ ঘণ্টা বর্ষণ চলতে পারে বলে পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে। (WB Weather Update)
আর কী??
শুধু কলকাতা নয়। হুগলি, হাওড়া, পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর এবং দক্ষিণ পরগনাতেও আগামী ২-৩ ঘণ্টা বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে, জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। ফলে অপেক্ষাকৃত নিচু এলাকায় জল জমতে পারে, হতে পারে যান চলাচলে বিপদও। বিশেষত, হাওড়া ও কলকাতা কিছু অংশে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড় এবং এবং হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকছে। এই সময়ে আমজনতাকে নিরাপদ স্থানে থাকার পরামর্শ দিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
যা জানা গিয়েছিল...
রাজ্যে বর্ষা দেরিতে ঢুকেছিল বটে। কিন্তু সেপ্টেম্বরের গোড়াতেও বৃষ্টিতে ভিজছে মাটি। তার মধ্যে গত কাল, সোমবার জানা যায় যে সাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। এই নিম্নচাপ এবং মৌসুমী অক্ষরেখার প্রভাব পড়ছে দক্ষিণবঙ্গে, উঠে আসে সেই কথাও। এর প্রভাবে আকাশ মেঘলা রয়েছে। বৃহস্পতিবারের বৃষ্টির পূর্বাভাস মিলে যায়। তবে শুক্রবারের পর থেকে বৃষ্টি কমবে বলে গত কাল জানিয়েছিল আবহাওয়া দফতর। সঙ্গে আরও জানিয়েছিল, উপকূল এবং ওড়িশা সংলগ্ন জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বৃহস্পতিবার। এ ছাড়াও, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া এবং পুরুলিয়াতেও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা ছিল গত কাল। দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
গত কাল কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা (minimum temperature) ছিল ২৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা কিনা স্বাভাবিক। গত কাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা (maximum temperature) ছিল ৩০.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি কম। গত কাল সকাল সাড়ে আটটা পর্যন্ত বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ। গত পরশু সকাল সাড়ে আটটা থেকে গত কাল সকাল সাড়ে আটটা পর্যন্ত ১০ মিলিমিটার হয়েছে শহরে। আপাতত যা পূর্বাভাস, তাতে আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁয়ে ফেলতে পারে। আকাশ সাধারণত মেঘলা থাকার সম্ভাবনা। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ কয়েক পশলা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আগামিকাল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে থাকার কথা, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা পৌঁছে যেতে পারে ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এদিকে তাপমাত্রার হেরফেরে জ্বর, সর্দি, কাশির মতো উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। শিশুরা তো বটেই, জ্বর-কাশি থেকে রেহাই পাচ্ছেন না বয়স্করাও। আবহাওয়ার এই রকমফের দেখে রোগ-জ্বর বালাই সম্পর্কে সতর্ক থাকতে বলছেন চিকিত্সকরা। কাশি হলে কমতে সময় লেগে যাচ্ছে অনেক দিন। বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে এই সময় বাড়তি সতর্কতা ও যত্ন প্রয়োজন বলে পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিত্সকরা।
আরও পড়ুন:শেষ হাসি হাসবে কে ? আজ ধূপগুড়ি উপনির্বাচনের ফল ঘোষণা