কমলকৃষ্ণ দে, পূর্ব বর্ধমান: টানা বৃষ্টিতে চাষের জমিতে জমে আছে জল। মাঠেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে গোবিন্দভোগ ধান সহ অন্যান্য ফসল। বিপুল ক্ষতির মুখে প্রশাসনের কাছে সাহায্যের আর্জি জানিয়েছেন বর্ধমানের কৃষকরা। কৃষি দফতর সূত্রে খবর, ক্ষয়ক্ষতি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।


ফুসল নষ্টের আশঙ্কা কৃষকদের: অসময়ের অবিরাম বৃষ্টিতে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন কৃষকরা। বিঘার পর বিঘা জমিতে জমে রয়েছে জল। জল জমে মাঠেই নষ্ট হচ্ছে ধান। আর তাতেই চিন্তার ভাঁজ অন্নদাতাদের কপালে। রাজ্যের শস্যগোলা বলে পরিচিত পূর্ব বর্ধমান। আর গোবিন্দভোগ ধানের আঁতুড়ঘর বলে পরিচিত পূর্ব বর্ধমানের রায়না, খণ্ডঘোষ, জামালপুর। কিন্তু অকাল বৃষ্টিতে নষ্ট হতে বসেছে ধান সহ অন্যান্য ফসল। খণ্ডঘোষের কৃষক জালালউদ্দিন মণ্ডল বলেন, “মাঠের যা অবস্থা লাভ তো উঠবেই না। উপরন্তু লস হবে। ২০০০ টাকার ধান ১০০০ টাকা বিক্রি হবে।’’                    

কৃষকদের একাংশের দাবি, গোবিন্দভোগ চালের উপর কেন্দ্রীয় সরকারের ২০ শতাংশ রফতানি শুল্ক বৃদ্ধির জেরে একপ্রকার বন্ধ রফতানি। ফলে এমনিতেই দাম নেই ধানের। তার ওপর টানা বৃষ্টির জেরে জলের তলায় মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ফলানো ফসল। লাভ তো দূর অস্ত ,চড়া দামে বীজ, সার, কীটনাশক কিনে খরচ টুকুই ঘরে তুলতে পারবেন তা নিয়েই সন্দিহান চাষিরা। শেখ সওকত আলি নামে এক কৃষক বলেন, “কয়েকদিনের বৃষ্টি আমাদের মাঠ শেষ। সব জমির ধান জলের তলায়। তারপর কেন্দ্রের ট্যাক্স। বাইরে বিক্রি করা যাচ্ছে না, মিলও কিনছে না। আমাদের আর কী উপায় আছে বুঝতে পারছি না।’’

পূর্ব বর্ধমানের কৃষি দফতর সূত্রে খবর, প্রায় ৫০ হাজার হেক্টর জমিতে গোবিন্দভোগ ধানের চাষ হয়েছিল। যার অধিকাংশ ধান কাটার কাজ চলছিল। বৃষ্টির ফলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। খণ্ডঘোষের কৃষক শেখ নিজামউদ্দিনের কথায়, “জলময় হয়ে রয়েছে। কোনটা বাঁচব কী করব জানি না। সরকার যদি বাঁচায় তাহলে বাঁচব নইলে মরব।’’               


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।  




 



আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: আদবাসীদের সার্টিফিকেট দেওয়ার ঘোষণা, ভুয়ো শংসাপত্র বাতিলের হুঁশিয়ারি মুখ্যমন্ত্রীর