মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, পশ্চিম বর্ধমান: পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরে গাড়িতে আগুন। গতকাল রাতে স্থানীয় ভগৎ সিং মোড়ে বুদ্ধবিহার সর্বজনীন দুর্গাপুজো মণ্ডপের সামনে রাস্তায় গাড়িটি দাঁড় করিয়ে ঠাকুর দেখতে গিয়েছিলেন বীরভূমের দুবরাজপুরের বাসিন্দা ৪ জন। ফিরে এসে গাড়িতে উঠে হঠাৎ ধোঁয়া বেরোতে দেখে নেমে যান তাঁরা। নিমেষে দাউ দাউ করে জ্বলে ওঠে গাড়িটি। দমকলের একটি ইঞ্জিন বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টায় আগুন নেভায়। শর্টসার্কিট থেকে আগুন বলে প্রাথমিক অনুমান দমকলের। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে দুর্গাপুর থানার পুলিশ। গাড়ির নথিপত্র ঠিক আছে কিনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।


চলতি বছরের জুলাই মাসেও এমন একটি ঘটনার সাক্ষী হয়েছিল এই শহর। সেদিন অফিস টাইমে চলন্ত বাসে আগুন লেগেছিল ! সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ মহাজাতি সদনের সামনে বিরাটি-বিবাদী বাগ রুটের মিনিবাস থেকে গলগল করে ধোঁয়া বেরোতে শুরু করেছিল। বিবাদী বাগ থেকে বিরাটির দিকে যাওয়ার পথে, বাসের ইঞ্জিনে আগুন লেগে যায়। বলাইবাহুল্য ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল। দমকলের ইঞ্জিন গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। মুহূর্তে গোটা এলাকা কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায়। কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ হয়ে গিয়েছিল যান চলাচল। যদিও ওই ঘটনার পরেও যাত্রীরা সুরক্ষিত ছিল, বলেই জানা গিয়েছিল।


সম্প্রতি আরও একটি ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের সাক্ষী হয়েছিল কলকাতা। ঘটনাস্থল ছিল কসবার অ্যাক্রোপলিস মল। রয়েছে গার্স্টিন প্লেসের অভিজ্ঞতাও। কিছু দিন আগেই বড়বাজারে মেহতা বিল্ডিংয়ে আগুন লেগেছিল। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছিল এলাকা। বারবার অগ্নিকাণ্ডের সাক্ষী থেকেছে কলকাতা। পার্কস্ট্রিটে ১৪ বছর আগে স্টিফেন কোর্টে আগুন লেগেছিল। আগুন লেগেছিল পার্কস্ট্রিটের ১৮-র A স্টিফেন কোর্টে। ভয়াবহ সেই আগুনে ৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল। আগুন থেকে বাঁচতে ওপর থেকে লাফ দেওয়ার মতো ভয়ঙ্কর ছবি সামনে এসেছিল। শুধু স্টিফেন কোর্টই নয়, গত কয়েক বছরে কলকাতায় একাধিক জায়গায় বার বার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল।


আরও পড়ুন, অষ্টমীর রাতে ঝালদার নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর স্ত্রীর মৃত্যু , 'হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে..'


 তবে গত কয়েকমাসের একাধিক অগ্নিকাণ্ডের পিছনে দায়ী ছিল এসি। কোথাও আবার গ্যাসের সিলিন্ডার। তবে বড়বাজারে মেহতা বিল্ডিংয়ের ওই এলাকায় আকাশ ছেয়েছে কালো তারে। শর্ট সার্কিটের জন্যও আগুন লাগার ভুরিভুরি ঘটানার উদাহরণ বহন করে চলেছে এই কলকাতা। কিন্তু কেন বারবার এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে ? দায়ী কে ? অগ্নিদাহ্য বস্তুগুলি নিয়ে কি দায়িত্বশীল নয় কেউ ? আগুন লাগলে কি আদৌ বেরিয়ে আসার রাস্তা থাকছে ? ফের নগরবসারীর সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠে এল। 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।