মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, পশ্চিম বর্ধমান: মালগাড়ি ও ডাম্পারের সংঘর্ষ, যানজট এলাকায়। শুক্রবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে পাণ্ডবেশ্বর সাউথ শ্যামলা সাইডিংয়ের কাছে । যার জেরে যানজটের সৃষ্টি হয়।
উল্লেখ্য পাণ্ডবেশ্বরের সাউথ শ্যামলা সাইডিংয়ে প্রতিনিয়ত চলছে কয়লা বোঝাই ডাম্পার , সেই মতো আজও কয়লা বোঝাই ডাম্পারগুলি খনি থেকে কয়লা নিয়ে রেল সাইডিংএ আসছিল । শুক্রবার সাড়ে দশটা নাগাদ গেট বিহীন রেল ক্রসিং পার করতে গেলে মালগাড়ির সঙ্গে সংঘর্ষ হয় কয়লা বোঝাই ডাম্পারের । যদিও এই ঘটনায় কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি । সৌভাগ্য বসত এই রেল লাইনটি দিয়ে শুধু মাত্র ইসিএলের কয়লা পরিবহন হয় এই লাইনের উপর দিয়ে কোনও যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করে না, নইলে বড়ো সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারতো। এই ঘটনায় কয়েক টন কয়লা ডাম্পার থেকে রাস্তায় পড়ে যাওয়ার কারণে সেগুলি সরাতে বেশ কিছুক্ষণ সময় লাগে যার জেরে যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে রেল লাইনের উপর থেকে কয়লা সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়।
অতীতে একাধিকবার দুর্ঘটনার মুখোমুখি হয়েছে বর্ধমান। এর আগে নয়ানজুলিতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে গিয়েছিল যাত্রীবাহি বাস! আহত হয়েছিল প্রায় ৪০ জন। ১৫ জনকে ভর্তি করা হয়েছিল বর্ধমান হাসপাতালে। মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল বর্ধমান-নবদ্বীপ রোডের ভান্ডারডিহি এলাকায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছিল দেওয়ানদিঘী থানার পুলিশ।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে,বামুনপাড়া-বর্ধমান-তেঁতুলিয়া রুটের যাত্রীবাহি বাসটি বর্ধমান থেকে কুসুমগ্রামের দিকে যাওয়ার সময় ভান্ডারডিহি এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নয়ানজুলিতে উল্টে গিয়েছিল।ঘটনায় আহত হয়েছিল প্রায় ৪০ জন বাসযাত্রী।স্থানীয়দের সহযোগিতায় পুলিশ, তাঁদের উদ্ধার করে কুড়মুন প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায়।অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেখান থেকে ১৫ জনকে বর্ধমান হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল।
কিছু দিন আগেই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার মুখোমুখী হয়েছিল বাঁকুড়া। বোলারো পিকআপ ভ্যানের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ এড়াতে গিয়ে, উল্টে গিয়েছিল পর্যটকবাহি বাস। আহত হয়েছিলেন অন্তত ১৫ জন পর্যটক। মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল ইন্দপুরের বাগডিহা এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে খবর এসেছিল, কলকাতা থেকে ৬৫ জন পর্যটককে নিয়ে মুকুটমণিপুরের দিকে যাচ্ছিল ওই পর্যটকবাহী বাস। বাঁকুড়া-খাতড়া রাজ্য সড়ক ধরে যাওয়ার পথে ইন্দপুরের বাগডিহার কাছে উল্টে যায় বাসটি। এই ঘটনায় কমবেশি আহত হয়েছিলেন অন্তত ১৫ জন পর্যটক। প্রত্যেকেই কলকাতার রুবি এলাকার বাসিন্দা ও রিক্সা চালক ইউনিয়নের সদস্য। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছিল ইন্দপুর থানার পুলিশ।