শিবাশিস মৌলিক, কলকাতা : পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election 2023) পদধ্বনি রাজ্যে। সরকারিভাবে কোনও ঘোষণা এখনও না হলেও কয়েক মাস পরই যে পশ্চিমবঙ্গে ভোটের দামামা বাজছে তা পরিষ্কার। আগামী এপ্রিল-মে মাস নাগাদ হতে পারে নির্বাচন। আর তাঁর প্রাক্কালেই ফের রাজ্যে অমিত শাহ (Amit Shah)। বিজেপির সর্বভারতীয় স্তরের নেতা তথা দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আগামী মার্চ মাসে আসছেন রাজ্যে।
প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে ইতিমধ্যে রাজ্যে ঘুরে গিয়েছেন জেপি নাড্ডা (JP Nadda)। ফের একবার চলতি সপ্তাহেই বঙ্গে আসছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি (BJP National President)। রবিবার কাঁথি-কাটোয়ায় বিজেপি সভাপতির সভা করবেন জেপি নাড্ডা।
রাজ্যে শাহ-নাড্ডা
পঞ্চায়েত ভোটের আগে ফের বঙ্গ সফরে অমিত শাহ-জেপি নাড্ডা। রবিবার কাঁথি-কাটোয়ায় বিজেপি সভাপতির সভা। পাশাপাশি কাটোয়ায় জনসভার পরে সাংগঠনিক বৈঠক করবেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। ১৯ জানুয়ারি নদিয়ায় সভা করে জন-সম্পর্ক যাত্রার শুরু করেছেন তিনি। প্রসঙ্গত, অমিত শাহ-জেপি নাড্ডাকে দিয়ে ১৪টি করে সভা চায় বঙ্গ বিজেপি। মার্চে আসছেন অমিত শাহ, জনসভা করে শুরু করবেন জন সম্পর্ক যাত্রা। প্রসঙ্গত, গত ডিসেম্বর মাসে রাজ্যে এসেছিলেন অমিত শাহ। সেবার এসে রাজ্য বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠকও সারেন তিনি। তাঁদেরকে বাতলে দেন সামনে বড় লড়াইয়ের নকশাও।
বিধানসভা ভোটের প্রাক্কালেও একাধিকবার রাজ্যে
এর আগে, ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারেও বাংলায় একাধিক সভা করেছেন শাহ। ২০২৪-এর আগে বাংলাতেও তাঁকে দিয়েই প্রচার শুরু করাতে চলেছেন কেন্দ্রের বিজেপি নেতৃত্ব। তবে শুধু শাহ নন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi), বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (JP Nadda)-কেও বাংলায় প্রচারে দেখা যাবে। বিজেপি সূত্রে খবর, এই তিন জনকে দিয়ে বাংলায় মোট ৪০টি সভা করানোর পরিকল্পনা রয়েছে বিজেপি-র। এর মধ্যে শাহ এবং নাড্ডা, দু'জনে ১৩টি করে সভা করবেন। মোদি বাংলায় সভা করবেন ১৪টি। তাঁদের ছাড়াও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং বিজেপি-র শীর্ষ নেতাদেরও বাংলায় দেখা যেতে পারে আগামী দিনে।
প্রসঙ্গত বিধানসভা ভোটের আগে রাজ্যে একাধিক সভা করেছিলেন অমিত শাহ, নরেন্দ্র মোদি, জেপি নাড্ডারা। স্লোগান তুলেছিলেন ইস বার দোশো পার। যদিও বিধানসভা ভোটে সেই লক্ষ্যের অনেক আগেই থামতে হয়েছিল বিজেপিকে। পাশাপাশি রাজ্য রাজনীতিতে এখন পদ্ম ছেড়ে ঘাসফুল শিবিরে কারা নাম লেখাতে পারেন, সেই নিয়ে জল্পনা জোরাল। এর মাঝে রাজ্যে এসে নেতা, কর্মীদের শাহ-নাড্ডা কী বার্তা দেন, সেদিকেই থাকবে নজর। সম্প্রতি একাধিকবার ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে সেখানে ভোটপ্রচারে গিয়েছিলেন শাহ। যদিও সেখানে কংগ্রেস, বামেদের তীব্র আক্রমণ শানালেও একবারের জন্য তৃণমূলকে নিশানা করেননি তিনি।
আরও পড়ুন- 'অনুরোধ করব, গরিবের টাকা মারবেন না', ফের মুখ্যমন্ত্রীর নিশানায় কেন্দ্র