দীপক ঘোষ, কলকাতা: বছর ঘুরলেই বিধানসভা ভোট। ফের একবার বঙ্গ দখলের স্বপ্ন দেখছে বিজেপি।আর সেই ভোট পরিচালনার গুরুদায়িত্ব শমীক ভট্টাচার্যের ওপরই দিলেন নরেন্দ্র মোদি- অমিত শাহরা। ২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্য বিজেপির ব্যাটন রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্যের হাতে তুলে দিল কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। আজ, বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হবে।
২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্য বিজেপির ব্যাটন রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্যের হাতে তুলে দিল কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হবে। সূত্রের খবর, সোমবার বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার সঙ্গে কথা হয় শমীক ভট্টাচার্যর। এরপরই বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব রাজ্য নেতৃত্বকে নির্দেশ দেয় শমীক ভট্টাচার্যের রাজ্য সভাপতি হওয়ার পথে যাতে কোনও জটিলতা তৈরি না হয়। বুধবার দুপুরে সল্টলেকে বিজেপির দফতরে সুকান্ত মজুমদার ও শুভেন্দু অধিকারীকে সঙ্গে নিয়ে মনোনয়ন জমা দেন শমীক।
আগামী দিনে কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যাবেন দলকে, জানালেন রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, "সভাপতি পদটা বহমানতা। তিন বছর অন্তর অন্তর পরিবর্তন হয়। এটা পুরোটাই টিম গেম। পার্টি সঙ্ঘবদ্ধ। পরাজয় নিশ্চিত জেনেও ৮০-র দশকে যাঁরা পোস্টার লাগিয়েছেন, স্ট্রিট কর্নার করেছিলেন ব্যক্তিগত ফিক্সড ডিপোজিট ভেঙে নির্বাচনে নেমেছিলেন জমানত বাজেয়াপ্ত হবে এটা জানার পরেও। তাঁরা সবাই বিজেপিকে একযোগে নামবেন। এই মুহূর্তে আর কোনও রাজনৈতিক দলের হাতে পশ্চিমবঙ্গের ভবিষ্য়ত নেই। ২০২৬-এর নির্বাচন তৃণমূলের বিসর্জন। মানুষ বাঁচতে চায়। বাংলা বাঁচতে চায়। পশ্চিম বাংলাদেশ যাতে না হয়ে যায় তার জন্য মানুষ সচেতন। এই নির্বাচনটা মানুষই লড়বেন।'' বছর ঘুরলেই বিধানসভা ভোট। ফের একবার বঙ্গ দখলের স্বপ্ন দেখছে বিজেপি। আর সেই ভোট পরিচালনার গুরুদায়িত্ব শমীক ভট্টাচার্যের ওপরই দিলেন মোদি-শাহরা। এদিন শমীক ভট্টাচার্য বলনে, "বিজেপি পার্টিতে দুটো পদ তৈরি করা যায় না। বেঙ্গল লাইন আলাদা বানিয়ে ফেলা যায় না। বিচ্যুতি থাকবেই। যেভাবেই হোক তৃণমূলকে ফেলতে হবে। পশ্চিমবঙ্গে সঙ্কট এসেছে।'' হিউম্য়ানিটিজ এর ছাত্র সুবক্তা শমীক ভট্টাচার্য। ১৯৭১-এ RSS-এর সঙ্গে যুক্ত হন। ৩ বার বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য় হন। ২০১৪ সালে বসিরহাট দক্ষিণে বিজেপির প্রথম বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হন তিনি। এরপর তাঁকে রাজ্য়সভায় পাঠায় বিজেপি।