পার্থপ্রতিম ঘোষ, কলকাতা : ভোটের আগে রাজ্যে মুড়ি-মুড়কির মতো অস্ত্র উদ্ধারের (Fire Arms Rescue) ঘটনা চিন্তা বাড়াচ্ছে পুলিশের। শুধু মুঙ্গের নয়, বিহারের ছোটখাটো জায়গাতেও তৈরি হচ্ছে বেআইনি অস্ত্র। সেই সব অস্ত্র পাচার হচ্ছে বাংলায়। এবার বাংলা-বিহার সীমানায় মিলল বেআইনি অস্ত্র কারখানার হদিশ।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বিহার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে গতকাল মালদার রতুয়া সীমানায় কাটিহারের আমদাবাদ এলাকায় অভিযান চালায় রাজ্য় পুলিশের এসটিএফ। বেআইনি অস্ত্র কারখানার মালিক নারু কর্মকারের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় ২টি আগ্নেয়াস্ত্র, একটি অসম্পূর্ণ ব্যারেল, একটি অসম্পূর্ণ আগ্নেয়াস্ত্র ও অস্ত্র তৈরির নানা সরঞ্জাম। অস্ত্র কারখানার মালিক পলাতক।
সম্প্রতি বাংলার বিভিন্ন জায়গা থেকে অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনা ঘটছে। গত বৃহস্পতিবার ক্যানিংয়ে এক অস্ত্র কারবারির হদিশ মেলে। প্রচুর অস্ত্র উদ্ধার করে বারুইপুর পুলিশ জেলার পুলিশ। এই সব অস্ত্র বিক্রির উদ্দেশ্যে আনা হয়েছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে। এর আগে ২০ ফেব্রুয়ারি, বিহারের খাগাড়িয়া ও সমস্তিপুরে অভিযান চালিয়ে প্রচুর অস্ত্র উদ্ধার করে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ। কিন্তু এত আগ্নেয়াস্ত্র আসছে কোথা থেকে ? বারবার উঠছে প্রশ্ন। আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় গতবছর হরিদেবপুরকাণ্ডে ফিরহাদ হাকিম বলেছিলেন, 'অস্ত্র আসছে বিহার, ঝাড়খন্ড, উত্তরপ্রদেশ থেকে।'
তবে শুধু আগ্নেয়াস্ত্র নয়, পঞ্চায়েত ভোটের আগে প্রায় সপ্তাহেই বোমা উদ্ধার হচ্ছে। রাজ্যের একাধিক জেলার তালিকার মধ্য়ে বোমার উদ্ধারের তালিকায় প্রথম সারিতে বীরভূম। সম্প্রতি ফের বোমা উদ্ধার হয়েছে এবার বীরভূমে। তারাপীঠ থানার খামেডডা গ্রামে থেকে প্রচুর বোমা উদ্ধার করে পুলিশ।জানা গিয়েছে, খামেডডা কোয়েল পুকুরের ধার থেকে এই বোমাগুলি উদ্ধার করা হয়েছে। প্লাস্টিকের চারটি বালতিতে এই বোমা গুলি রাখা ছিল বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন : আজ থেকে DA আন্দোলনকারীদের ডিজিট্যাল অসহযোগ, কোন কোন কাজ বন্ধ
সম্প্রতি পাড়ুই থানার ভেড়ামারি গ্রাম থেকে তিনটি প্লাস্টিকের ড্রাম ভর্তি বোমা (Bomb Rescue) উদ্ধার করে পাড়ুই থানার পুলিশ (Police)। বোমা যেখান থেকে উদ্ধার করা হয়, সেই এলাকা প্রথমে ঘিরে রেখেছিল পুলিশ (Police)। পাশাপাশি কিছুদিন আগে শুধুই বোমা উদ্ধার নয়, বোমা বিস্ফোরণও হয়েছিল বীরভূমের ওই এলাকায়। পাড়ুইয়ের এই ভেড়ামারি গ্রামেই তৃণমূলের অঞ্চল কমিটির সদস্য শেখ হাফিজুলের বাড়ির গোয়াল ঘরে বোমা বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণের তীব্রতায় প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় গোয়ালঘর। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে, তাঁর বিকট শব্দ ১২ থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে বোলপুরেও শোনা গিয়েছিল বলে জানানো হয়েছিল পুলিশের তরফে।