কলকাতা : বকেয়া DA-র দাবিতে আজ থেকে ডিজিটাল নন-কোঅপারেশনের ডাক দিয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ।
ডিজিট্যাল অসহযোগ কী
আন্দোলনকারী রাজ্য সরকারি কর্মীরা জানিয়েছেন, বিভাগীয় দফতরের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে আসা কোনও নির্দেশ পালন করবেন না। ব্যক্তিগত মোবাইল, ল্যাপটপেও ডেটা খরচ করে আর কোনও কাজ করা হবে না। কোনও নির্দেশ দেওয়ার প্রয়োজন হলে তা অফিসিয়াল মেল মারফত জানাতে হবে এবং সরকারি অফিসের নির্ধারিত সময়ের বাইরে কোনও কাজ করবেন না কর্মীরা। এর পাশাপাশি শহিদ মিনার চত্বরে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ধর্না-অবস্থানের আজ ৫১ দিন। ৩৭ দিনে পড়েছে তাঁদের অনশন-আন্দোলন।
আন্দোলনকারীদের পাশে নৌশাদ
আন্দোলনকারীদের পাশে থাকার বার্তা দিতে আজ শহিদ মিনার চত্বরে ধর্নামঞ্চে অনশনে বসলেন ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকি। সকাল ১০টা থেকে রাজ্যজুড়ে শুরু হবে গণ অনশন কর্মসূচি। শহিদ মিনারে ধর্না-অবস্থানের আজ ৫১ দিন। ৩৭ দিনে পড়েছে অনশন-আন্দোলন। ৪২দিন পর জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরই ডিএ আন্দোলনকারীদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিলেন নৌশাদ। ধর্নামঞ্চে আন্দোলনকারীদের পাশে থেকে তিনি বার্তা দেন, এখন শুধু কলকাতায় এই আন্দোলন চলছে, আগামী দিনে বাংলার গ্রামাঞ্চলেও এই আন্দোলন ছড়িয়ে দিতে হবে ।
এর আগে বকেয়া DA-র দাবিতে ২০ ও ২১ ফেব্রুয়ারি টানা ২ দিন সরকারি দফতরে কর্মবিরতির ডাক দিয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। এরপর ১০ মার্চ রাজ্যজুড়ে ধর্মঘট পালন করেন তাঁরা। আপাতত আর DA বাড়ানো যাবে না বলে, ইতিমধ্যেই স্পষ্ট করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বকেয়া ডিএ দেওয়া প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, ' কত চাই? কত দিলে সন্তুষ্ট হবেন? দয়া করে আমার মুণ্ডটা কেটে নিন তাহলে যদি আপনারা সন্তুষ্ট হন। আমাকে যদি পছন্দ না হয়, তাহলে আমার মুণ্ডটা কেটে নিন। কিন্তু এর থেকে বেশি আমার থেকে আর পাবেন না। সিপিএম এর আমলে সব DA বকেয়া ছিল। ৩৪ বছরে, সিপিএম মাত্র ৩৩ শতাংশ DA দিয়েছে। আমরা ৯৯ শতাংশ প্লাস ৬ শতাংশ DA দিচ্ছি। কত হল। ১০৫ শতাংশ DA দিচ্ছি। '
এরই মধ্যে DA-এর আন্দোলনকারীদের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা কাইজার আহমেদ। তিনি বলেন, ভোটের কাজ করতে এসে ওঁরা ডিসটার্ব করবে। ওদের ডিসটার্বগিরি ছাড়িয়ে দিতে হবে। এসব সত্ত্বেও দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলনে অনড় সরকারি কর্মীদের একাংশ।
আরও পড়ুন :
ফের রাজ্যে অস্ত্র উদ্ধার, বিহার সীমানায় মিলল বেআইনি অস্ত্র কারখানার হদিশ