কমলকৃষ্ণ দে, বর্ধমান : হিমঘরে (Cold Storage) আলু রাখার সময়সীমা বাড়াল রাজ্য । ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে ওই সময়সীমা।
ভিন রাজ্যে চাহিদা কম থাকায় রাজ্যের ৪৭০টি হিমঘরে এবার কয়েক লক্ষ টন আলু পড়ে রয়েছে বলে পশ্চিমবঙ্গ প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতি সূত্রে জানা গিয়েছে। বিভিন্ন কারণে এবার আলু চাষের মরসুম দেরিতে শুরু হয়েছে। ফলে, নতুন আলু উঠতে এখনও কিছুটা সময় লাগবে। সেজন্য হিমঘরে আলু সংরক্ষণের সময়সীমা বাড়ানো ছাড়া সরকারের হাতে বিকল্প উপায় ছিল না বলে চাষি থেকে সংরক্ষণকারীরা মনে করছেন। বাড়তি এক মাসের জন্যে সরকারিভাবে ভাড়া (দক্ষিণবঙ্গের জন্যে কুইন্টাল প্রতি ১৮.৬৬ টাকা আর উত্তরবঙ্গের জন্যে ১৯.১১ টাকা) ধার্য করা হয়েছে।
বুধবার রাজ্যের কৃষি বিপণন দফতরের তরফে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, চলতি বাণিজ্যিক বছরে ভাল পরিমাণে আলু হিমঘরে মজুত রয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে (৩০ নভেম্বরের) মজুত আলুর সবটা হিমঘর থেকে বেরিয়ে যায়নি। সে কারণেই ডিসেম্বর মাসে সরকার নির্ধারিত ভাড়ায় হিমঘরে আলু রাখা যাবে। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সব আলু বের করে নিতে হবে।
পশ্চিমবঙ্গ প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতি সূত্রে খবর, রাজ্যে ৬৩ লক্ষ টন আলু মজুত হয়েছিল। বুধবার পর্যন্ত রাজ্যে কয়েক লক্ষ টন আলু পড়ে রয়েছে। সংগঠনের তরফে কৃষি বিপণন দফতর ও মন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে একই ভাড়ায় ৩০ নভেম্বরের পরিবর্তে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত হিমঘরে আলু রাখার দাবি জানানো হয়েছিল।
কৃষি বিপণন দফতরের এক আধিকারিকের দাবি, সাধারণত এই সময় রাজ্যের হিমঘরগুলিতে এক-দেড় লক্ষ টন আলু থেকে যায়। অল্প কিছু দিনের জন্যে সরকার হিমঘরে আলু রাখার সময়সীমা বাড়ায়। তারপরেও আলু থেকে গেলে হিমঘরে রক্ষণাবেক্ষণে সমস্যা হয়। তখন হিমঘরের বাইরের চত্বরে আলু বের করে দেওয়া হয়। কিছু দিন অপেক্ষার পরেও আলু পড়ে থাকলে সরকারি নিয়ম মেনে নিলাম করে দেওয়া হয়।
গত বারের মতো এবারেও পরিস্থিতি ভিন্ন। বহু চাষি বীজ আলুও হিমঘরে রেখেছেন। এখনও ধান কাটা শেষ হয়নি। চাষের জমি তৈরি হয়নি বলে বীজ আলু বের হচ্ছে না।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।