WB Budget 2025 LIVE : 'কোথাও যেন মনে হচ্ছে এবার সত্যি হতে চলেছে', 'ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান' বরাদ্দে প্রতিক্রিয়া দেবের
West Bengal 2025 Budget Live Updates : 'কেন বিরোধীরা সর্বদল বৈঠকে আসেন না, বুঝতে পারি না'। বিএ কমিটির বৈঠকে মন্তব্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
উত্তপ্ত বাজেট অধিবেশন। বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট বিজেপির। নিন্দায় সরব স্পিকার। বেকার বিরোধী বাজেট। কর্মসংস্থানের কথা নেই। আক্রমণ বিরোধী দলনেতার।
চর্চা চলে আসছে কয়েক যুগ ধরে। কিন্তু বাস্তবায়িত হয়নি আজও। রাজ্য রাজনীতিতে 'ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান' তাই 'হট টপিক'। ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এবার সেই 'ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান' নিয়ে বড় ঘোষণা করল মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সরকার। 'ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান' বাস্তবায়িত করতে বাজেটে ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করল রাজ্য। তৃণমূলের তারকা সাংসদ দেব ওরফে দীপক অধিকারী 'ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান' বাস্তবায়িত করার স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। রাজ্যের ঘোষণায় তিনিও প্রতিক্রিয়া জানালেন।
তিনি বলেন, "ঘাটালের দীর্ঘদিনের লড়াই। অনেকে হয়ত বেঁচেও নেই। কোনও দিন নিশ্চয়ই বাস্তবায়িত হবে বলে স্বপ্ন দেখেছিলেন। তাঁদের লড়াই, প্রার্থনা, আশীর্বাদ... আমার কোথাও যেন মনে হচ্ছে এবার সত্যি হতে চলেছে। জমি কমিটি তৈরি হয়ে গিয়েছে। পরিকল্পনার আওতায় যে যে জমি পড়ে, সমীক্ষা হয়েছে।"
'বামফ্রন্ট সরকার চলে যাওয়ার পর আমরা ১২৫ শতাংশ পর্যন্ত DA দিয়েছিলাম।' মন্তব্য মুখ্যমন্ত্রীর।
'লক্ষ্মীর ভান্ডারে ২ কোটি ২১ লক্ষ পরিবার সুবিধে পায়, ৫০ হাজার কোটি খরচ হয়। কন্যাশ্রী প্রকল্পের জন্য ১৫ হাজার কোটি খরচ করে রাজ্য সরকার। স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পে ৯ কোটি মানুষের জন্য ১২ হাজার কোটি খরচ হয়।' বললেন মুখ্যমন্ত্রী।
সর্বদল বৈঠকে যোগ দেয়নি। বাজেট অধিবেশন থেকেও ওয়াকআউট করল বিজেপি। বাজেটের বিরোধিতা করে বিধানসভা থেকে বেরিয়ে আসেন বিজেপি বিধায়করা। তাঁদের নেতৃত্ব দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর অভিযোগ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার যে দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে, রাজ্য সরকারের এবারের বাজেটই তার প্রমাণ। এই বাজেট বেকার-বিরোধী বাজেট। রাজ্যের ২ কোটি ১৫ লক্ষ বেকার যুবক-যুবতীর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করলেন মমতা। শুভেন্দুর দাবি, এই বাজেট মমতার শেষ বাজেট, '২৬ সালে বিজেপি পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করবে এবং বেকার পরিবারক একটি করে চাকরি দেওয়া হবে।
'আমরা দাম না বাড়ালেও CESC বাড়ায়, ওতে আমাদের কিছু করার নেই। ওরা স্বশাসিত সংস্থা, বাম আমলে এমন একটা করে দিয়েছে। CESC নিয়ে আমাদের কিছু করার নেই', দাবি মুখ্যমন্ত্রীর ।
'অন্য রাজ্য আমাদের থেকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প নকল করেছে। আমরা বাজেটে যে কথা দিই, তা পূরণ করি।' বললেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর বক্তব্য, 'আরও কর্মসংস্থান তৈরি করাটাই আমাদের লক্ষ্য।'
গঙ্গাসাগর সেতুর জন্য বরাদ্দ করা হল ৫০০ কোটি। ৩৭ হাজার কিমি গ্রামীণ রাস্তার জন্য বরাদ্দ দেড় হাজার কোটি টাকা। আরও ৩৫০টি সুফল বাংলা স্টল তৈরির জন্য ২০০ কোটি বরাদ্দ।
বাড়ানো হল না লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের ভাতা
'বাংলার বাড়ি' প্রকল্পে অতিরিক্ত ১৬ লক্ষ উপভোক্তার জন্য ৯,৬০০ কোটি। সব মিলিয়ে বাংলার বাড়ি প্রকল্পে উপকৃত হবেন ২৮ লক্ষ উপভোক্তা ।
আশা-অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের মোবাইল ফোন দিতে ২০০ কোটি বরাদ্দ।
রাজ্য বাজেটে 'নদী বন্ধন' নামে নতুন প্রকল্পের ঘোষণা। 'নদী বন্ধন' নামে নতুন প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ ২০০ কোটি
রাজ্য বাজেটে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানে ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ
রাজ্য বাজেটে চার শতাংশ DA বাড়ানোর প্রস্তাব । চলতি বছরের ১ এপ্রিল থেকে নতুন হারে DA কার্যকর।
বাজেটের আগে বিএ কমিটির বৈঠকে অনুপস্থিত বিরোধীরা, ক্ষোভপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর। 'আমরা বিরোধী থাকলেও লোকসভার সর্বদল বৈঠকে উপস্থিত থাকতাম। এই ধরনের বৈঠকে বিরোধীদের উপস্থিত থাকা উচিত। কেন বিরোধীরা সর্বদল বৈঠকে আসেন না, বুঝতে পারি না।' বিএ কমিটির বৈঠকে মন্তব্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
প্রেক্ষাপট
কলকাতা : ছাব্বিশের ভোটের আগে আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সরকারের শেষ বাজেট। আজ বিকেল ৪টেয় বিধানসভায় বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তবে তার আগেই জোর কটাক্ষ শুভেন্দুর।
'৩ শতাংশ DA বৃদ্ধি থাকতে পারে'
গতকাল শুভেন্দু বলেন, 'বাংলার মানুষের চাহিদা মতো কিছু না থাকলে, শুধু ভাতা বাড়িয়ে হবে না। ৫০০ টাকার ভাতা বাড়ানোর পরিকল্পনা করছেন। কালকে ৩ শতাংশ DA বৃদ্ধি থাকতে পারে। হয়তো আমি বলার পর ওটা ৪ শতাংশ হয়ে যেতে পারে। আমরা কেন্দ্রীয় হারে চাই। চাকরির কোনও গল্প থাকবে না। শিল্প নিয়ে কালকে থাকবে।' প্রসঙ্গত, DA ইস্যুতে রাজ্যে কম জল গড়ায়নি। একদিকে বকেয়া ডিএ নিয়ে যারা গলা চড়িয়েছেন, তাঁদের অনেকেই স্থানান্তরিত হয়েছেন অতীতে বলেও অভিযোগ।
২৬ বিধানসভা নির্বাচনের আগে এটাই মমতার-সরকারের শেষ বাজেট
এবার সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, বছর পেরোলেই অগ্নিপরীক্ষা। ২৬ বিধানসভা নির্বাচনের আগে এটাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সরকারের শেষ বাজেট। তাই বলার অপেক্ষা রাখে না, অনেক কিছুই হতে পারে কালকের বাজেটে। কারণ ভাগ্য নির্ধারণের পিলার মজবুত করতে সাহায্য করবে বইকি। পাশাপাশি আরও একটা বড় ইস্যু শিল্প। কারণ বিজিবিএস এবার বেশ বড় অঙ্কের বিনিয়োগের প্রসঙ্গ উঠে এসেছে। সেখানে বাংলার ছেলে মেয়েদের কর্মসংস্থানও জুড়ে রয়েছে। যাতে ভিনরাজ্যমুখী না হতে হয়, সেদিক থেকে বড় চেষ্টায় শাসকদল। তবে বুধবারের অপেক্ষায় গোটা বাংলা। কোন খাতে কত, কেমন হবে বরাদ্দ ? তা নিয়ে বিশ্লেষণে প্রতিটা রাজনৈতিক দলই।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -