কলকাতা: ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতির অভিযোগ, নজরদারিতে ফের কেন্দ্রীয় দল। বরাদ্দের টাকা কীভাবে খরচ, খতিয়ে দেখতে কালই আসছে কেন্দ্রীয় দল। নজরদারিতে মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন ব্লকে যাবেন গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের দল। ৩দিন রাজ্যে থাকার কথা জানিয়ে নবান্নে চিঠি গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের। 


মুর্শিদাবাদ জেলার বেলডাঙার ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় একশো দিনের কাজে আর্থিক নয়ছয়ের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে আসছে দুই সদস্যের কেন্দ্রের প্রতিনিধি দল। 


এদিকে, ১০০ দিনের কাজে টাকা পায়নি রাজ্য, এই নিয়েও জলঘোলা চলছে। বাংলাকে কেন এমন বঞ্চনা? সম্প্রতি এক বৈঠকে এই প্রশ্ন করেই কেন্দ্রের সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিদের বেকায়দায় ফেললেন নবান্নের পদস্থ আমলারা। 


যদিও তোপের মুখে পড়েও কোনও উপযুক্ত জবাব পর্যন্ত দিতে পারেনি কেন্দ্রীয় সরকার। গত সোমবার কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের এম্পাওয়ার্ড কমিটির সদস্যদের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের আমলাদের বৈঠক হয়। 


আরও পড়ুন, মার, বুকে পা তুলে দেওয়া, সিভিক ভলান্টিয়ারদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ, তাঁরা গড়বেন ভবিষ্যৎ!


নবান্ন সূত্রে খবর, রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের কর্তারা প্রশ্ন করেন, কেন্দ্রের সব শর্ত মেনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ এবং প্রত্যেকটি চিঠির উত্তর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দেওয়ার পরও কেন হকের বরাদ্দ আটকে রাখা হচ্ছে? জবাবে কেন্দ্রীয় সরকারের সচিব পর্যায়ের আমলারা জানান, সংশ্লিষ্ট আইনের (এমজিএনআরইজিএ) ২৭ নম্বর ধারা ‘রিভোক’ বা খারিজ না হলে এই বিষয়ে কিছু বলা যাবে না।   


অন্যদিকে , পশ্চিমবঙ্গে ১০০ দিনের কাজে জবকার্ড দুর্নীতির অভিযোগে, ফের কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিং-কে চিঠি লিখলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari )। চিঠিতে বিরোধী দলনেতা অভিযোগ জানিয়েছেন, ১ কোটি ১৭ লক্ষ ভুয়ো জবকার্ড তৈরি করা হয়েছে। বিষয়টি ক্যাগ-কে দিয়ে তদন্তের আর্জিও জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী


ট্যুইটারে একটি নথি তুলে ধরে, বিরোধী দলনেতা লিখেছেন, দুটি ব্লকে কীভাবে ভুয়ো জবকার্ড হোল্ডারদের মাধ্যমে টাকা নয়ছয় করা হয়েছে এটা তারই প্রমাণ। সেই সঙ্গে তিনি আরও দাবি করেছেন, গত ১০ বছরে রাজ্যে প্রায় ১ কোটি ১৯ লক্ষ জাল জবকার্ডের মাধ্যমে, বিপুল পরিমাণ টাকা পাচার করা হয়েছে। তার পরিমাণ কয়েক হাজার কোটি টাকা হতে পারে।