ময়ূখঠাকুর চক্রবর্তী, কলকাতা: বার বার প্রশ্নের মুখে পড়েছে সিভিক ভলান্টিয়ারদের ভূমিকা (Primary Education)। কখনও অধিকার না থাকা সত্ত্বেও লাঠিচার্জ, কখনও বুকে পা তুলে দেওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। রাজ্য পুলিশে বর্তমানে ১ লক্ষ ৭ হাজার ১৫ জন সিভিক ভলান্টিয়ার রয়েছেন। কলকাতা পুলিশ এলাকায় রয়েছেন ৬ হাজার ৯৩২ জন (Civic Volunteers)। বাধ্যবাধ্যকতা থাকা সত্ত্বেও, বার বার নানা অভিযোগ সামনে এসেছে।
সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে নানা ধরণের এক্তিয়ার বর্হিভূত কাজের অভিযোগ রয়েছে
নিয়ম না থাকা সত্বেও লাঠিচার্জ, বুট পরা পা বুকে তুলে দেওয়া, কখনও আবার সিভিক ভলান্টিয়ারের মারে স্কুটার আরোহীর মৃত্যু বা পিকআপ ভ্যানের চালককে মারধর করে ছিনতাইয়ের অভিযোগ। বিভিন্ন সময়, সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে নানা ধরণের এক্তিয়ার বর্হিভূত কাজ এবং চাঞ্চল্য়কর ঘটনায় জড়িত থাকার ভয়ঙ্কর অভিযোগ উঠেছে।
সেই সিভিক ভলান্টিয়ারদেরই প্রাথমিক স্কুলে পড়ানোর সিদ্ধান্তে এখন রাজ্যজুড়ে তোলপাড় চলছে। প্রাক্তন পুলিশকর্তা অনিল রায় সাফ বলেছেন, "এঁদের কাজ পড়ানো নয়।"
তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর, ২০১২ সালে চুক্তিভিত্তিক এই সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়োগ করা হয়। সিভিক ভলান্টিয়ারদের ন্যূনতম শিক্ষা যোগ্যতা আগে ছিল মাধ্যমিক উত্তীর্ণ। পরে তা আরও কমিয়ে অষ্টম শ্রেণি করা হয়। সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগে নেওয়া হয় না কোনও পরীক্ষাও।
আরও পড়ুন: Civic Volunteers: আপাতত স্থগিত সিভিক ভলান্টিয়ারদের স্কুলে পড়ানোর সিদ্ধান্ত
বর্তমানে, সিভিক ভলান্টিয়ারদের বেতন ৯ হাজার টাকা। মূলত, কম্পিউটার সম্পর্কে জ্ঞান আছে এরকম সিভিক ভলান্টিয়ারা থানায় ডেটা এন্ট্রির কাজ করেন। সার্জেন্টদের সহযোগিতায় রাস্তায় ভিড় নিয়ন্ত্রণ, লাইন সামলানো এবং যান নিয়ন্ত্রণের কাজ করেন সিভিক ভলান্টিয়ারা। থানাতেও মোতায়েন থাকেন। প্রয়োজনে, তাঁরা পুলিশ অফিসারদের সহযোগিতা করেন। নিয়ম অনুযায়ী, সিভিক ভলান্টিয়ারদের কাছে কোনও অস্ত্র থাকে না। তাঁদের কাছে লাঠি থাকারও কথা নয়। সম্প্রতি পুলিশ ট্রেনিং স্কুলে প্রশিক্ষণের পর, কলকাতা পুলিশ এলাকায় ফিল্ড পোস্টিং দেওয়া হয় সিভিক ভলান্টিয়ারদের।
শিক্ষকের মতো মানুষ গড়ার কাজ কী ভাবে করবেন সিভিক ভলান্টিয়াররা!
সূত্রের দাবি, রাজ্য পুলিশে বর্তমানে ১ লক্ষ ৭ হাজার ১৫ জন সিভিক ভলান্টিয়াররা রয়েছেন। লালবাজার সূত্রে খবর, কলকাতা পুলিশ এলাকায় রয়েছেন ৬ হাজার ৯৩২ জন সিভিক ভলান্টিয়ার, যাঁদের একাংশের বিরুদ্ধে বার বার দাদাগিরি কিংবা জুলুমবাজির অভিযোগ উঠেছে। অর্থাৎ যাঁরা নিজেদের কাজই ঠিকমতো করতে পারেন না, বলে অভিযোগ। তাঁরা শিক্ষকের মতো মানুষ গড়ার কাজ কী ভাবে করতে পারেন, তা নিয়ে সব মহলে জোরাল প্রশ্ন উঠছে।