কলকাতা : সাল ২০২১। বিধানসভা ভোটের ঠিক প্রাক্কালে আঘাত পান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০২১ এর ১০ মার্চ, নন্দীগ্রামের বিরুলিয়া বাজারে গুরুতর চোট পেয়েছিলেন তিনি। সেদিন সন্ধেয় হরিনাম সংকীর্তনের একটি অনুষ্ঠান থেকে নন্দীগ্রামের রেয়াপাড়ায় নিজের অস্থায়ী ঠিকানায় ফিরছিলেন তিনি। মাঝপথে বিরুলিয়া বাজারের কাছে লোকজনকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে গাড়ি থামান । অভিযোগ ছিল, আচমকাই ৪-৫জন এসে তাঁকে ধাক্কা দেন। মাথায়, কপালে এবং পায়ে চোট লাগে তাঁর। তারপর পায়ে প্লাস্টার বেঁধে, হুইলচেয়ারে বসেই ভোটপ্রচারে ঝড় তোলেন তিনি।

  


এরপর একের পর এক চোট পেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। গত জানুয়ারি মাসে বর্ধমানের সভা থেকে ফেরার পথে মাথায় আঘাত পান মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। জিটি রোডে ওঠার মুখে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের কনভয়ে ঢুকে পড়ে একটি গাড়ি। চালক সজোরে ব্রেক কষায় কপাল ও হাতে চোট পান মুখ্যমন্ত্রী।

গতবছরের জুন মাসে জলপাইগুড়ির ক্রান্তি থেকে হেলিকপ্টারে বাগডোগরা যাওয়ার সময় প্রতিকূল আবহাওয়ার মুখে পড়ে মুখ্যমন্ত্রীর কপ্টার। সুকনা এয়ারবেসে জরুরি অবতরণ করান পাইলট। মুখ্য়মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, স্বাভাবিক ক্ষেত্রে হেলিকপ্টার থেকে নামার সময় সিঁড়ি থাকে, কিন্তু জরুরি অবতরণ হওয়ায়, সেই সময় সিঁড়ির ব্য়বস্থা ছিল না। সেই অবস্থায় কপ্টার থেকে নামতে গিয়ে কোমড়ে চোট লাগে মুখ্যমন্ত্রীর।

আবার ১৪ মার্চ, ২০২৪। লোকসভা ভোটের মুখে ফের বড় বিপদের কবলে পড়লেন মুখ্যমন্ত্রী । এবার বাড়ির মধ্যেই আহত হলেন  মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। ঝরঝর করে ঝরল রক্ত। তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএম মেডিক্য়াল কলেজ হাসপাতালে। 

অতীতে বিরোধী নেত্রী থাকাকালীন, বাম আমলে দুষ্কৃতী হামলায় গুরুতর আহত হয়েছিলেন তিনি। ১৯৯০ সালের ১৬ অগাস্ট হাজরা মোড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায়, লাঠিসোঁটা নিয়ে চড়াও হয় কিছু দুষ্কৃতী। লাঠির ঘায়ে মাথা ফাটে তৎকালীন যুব কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সে আঘাত ছিল ভয়ানক। সে-কথা ইদানীং কালে বারবার বলতে শোনা গিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।  


মুখ্যমন্ত্রীর শারীরিক অবস্থার আপডেট , ১৫ মার্চ


শুক্রবার ফের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বাস্থ্যপরীক্ষা হবে। ইতিমধ্যেই বাড়ানো হয়েছে তাঁর বাড়ির আশেপাশের নিরাপত্তা। কারণ,  এসএসকেএমের অধিকর্তা প্রথমে বলেন,  পিছন থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে ধাক্কা দেওয়া হয়েছে।  কিছু একটা ধাক্কা লেগেছে এরকম শোনা যাচ্ছে, প্রতিক্রিয়া দেন ভ্রাতৃবধূ কাজরীও।  এরপর অবশ্য এসএসকেএমের অধিকর্তা ব্যাখ্যা দেন, ধাক্কার অর্থ এই নয় যে পেছন থেকে কেউ ধাক্কা মেরেছে আসলে পড়ে যাওয়ার সময়, মুখ্যমন্ত্রীর মনে হয়েছিল তিনি কোন ধাক্কা খেয়েছেন।