রুমা পাল, কলকাতা: স্বল্প সময়ে বেশি রিটার্ন পাওয়ার স্বপ্ন! ঝুঁকি জেনেও লগ্নির ঝোঁক! আর তাতেই চিটফান্ডের (Chit Fund) পাল্লায় পড়ছেন বহু মানুষ! সেই ৭-এর দশক থেকেই বাংলায় (West Bengal) বারবার চিটফান্ড কেলেঙ্কারি ঘটেছে। তা সত্বেও এই ধরনের ভুইফোঁড় সংস্থায় লগ্নির (Invest) প্রবণতা কমেনি! কিন্তু কেন?



৯ বছর আগে, এই এপ্রিলেই (April) জানা গিয়েছিল, কীভাবে চিটফান্ডের জালে সর্বস্বান্ত হয়েছিলেন লক্ষ লক্ষ মানুষ! রাস্তায় বসে ওই সব হারানো মানুষগুলোর ডুকরে কান্না, দিনের পর দিন থানায় যাওয়া, সরকারি দফতরের সামনে ধর্না দেওয়া, আন্দোলনে যোগ দিয়ে গলা ফাটানো, সব কিছুই তো দেখেছে বাংলার মানুষ! তারপরও এই ২০২২-এ আরও চিটফান্ড কেলেঙ্কারির পর্দাফাঁস হয়েছে। 


কোটি কোটি টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ উঠেছে। প্রতারিত হয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। কিন্তু এরই সঙ্গে বারবার এই প্রশ্নটাও উঠছে যে, ৮ কিংবা ৯-এর দশকের সঞ্চয়িতা, সঞ্চয়িনী, ভেরোনা, ওভারল্যান্ডে’র পর্দা ফাঁসের পরেও বাংলায় সারদা, রোজভ্যালির মতো বিরাট মাপের চিটফান্ড কেলেঙ্কারি হয়েছে...কিন্তু তারপরও চিটফান্ডে টাকা রাখার এই প্রবণতা বন্ধ হচ্ছে না কেন?


আরও পড়ুন, রক্তদান করা কি ভাল? শরীরে কোনও উপকার হয়? 


চড়া সুদের প্রলোভনে পা দিয়ে বারবার কেন সর্বস্বান্ত হয় সাধারণ মানুষ? মনোবিদ সুবর্ণা সেন বলেন, "প্রত্যেকেই অর্থনৈতিক নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন, প্যান্ডেমিকের পরে সেটা বেড়েছে, এত ইনসিকিওরিটি, ভাবছেন ম্যাজিক হয়ে যাবে, হয়তো কোথাও ভাবছেন, এরা ওরকম নয়, ওই জন্য টাকা লগ্নি করছেন।" 


অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে আর কবে, মোটা সুদের লোভে, এই ভুঁইফোড় বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থায় টাকা রেখে সব হারানো বন্ধ করবে সাধারণ মানুষ?  এদিকে, সঞ্চয়িতা থেকে সারদা হয়ে সুরানা গ্রুপ ফান্ড! সময় বদলায়। কিন্তু বাংলায় চিটফান্ড ঘুরে ফিরে আসে নতুন নতুন রূপে! আর কোনও চিটফান্ড সংস্থাকে মাথা তুলতে না দেওয়ার দায়িত্ব যাদের, সেই রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাগুলির ভূমিকা নিয়ে তাই প্রশ্ন ওঠে বারবার।