মেদিনীপুর: গোটা দোকান সাজানাে নীল সাদা রংয়ে। রাস্তার ধার দিয়ে যেতে গেলেই চোখ পড়বে সবার। সামান্য এক চপের দোকান। কিন্তু আপনি দোকানের ভেতরে ঢুকলে মনে হতেই পারে যে আরে, এ তো 'মিনি আর্জেন্তিনা'! লিওনেল মেসির অন্ধভক্ত এই দোকানের মালিক জয়দেব। আর্জেন্তিনা বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠার পর দোকানটিকে সাজিয়েছিলেন নতুন ভাবে। আর প্রিয় দল ও প্রিয় ফুটবলার বিশ্বকাপ জেতার পরই জয়দেব দেদারে বিনামূল্যেই বিলিয়েছেন মিষ্টি ও চপ।


আর্জেন্তিনার বিশ্বকাপ জয়ের পর দোকানের নতুন করে পূজো দিয়েছিলেন জয়দেব। ভেতরে নীল-সাদা বেলুন দিয়েও সাজিয়েছেন। তিনি বলেন, ''ফাইনালের রাতে আমি খুব দুঃশ্চিন্তায় ছিলাম। সকালে দোকানে পূজো দিয়েছিলাম। গোটা দোকান সাজিয়েছিলাম। মেসি বিশ্বকাপ জেতায় ভীষণ খুশি আমি। আমি সবাইকে ফ্রি-তে একদিন মিষ্টি খাওয়ানোর চেষ্টা করেছি।''


বিশ্বকাপ নিয়েই ঘুম


সদ্যই বিশ্বকাপের পর এক দীর্ঘ সফর শেষে আর্জেন্তিনায় পৌঁছছে লা আলবিসেলেস্তে। অবশেষে স্বপ্নপূরণ হওয়ায় নিশ্চয়ই স্বস্তির ঘুম দিয়েছেন মেসি। তবে ঘুমের মধ্যেও বিশ্বকাপ ট্রফিটা হাতছাড়া করতে একেবারেই রাজি নন 'এলএম১০'। সদ্যই সোশ্যাল মিডিয়ায় মেসি বিশ্বকাপের সঙ্গে নিজের একটি ছবি পোস্ট করেছেন। সেই ছবিতে বিছানায় মেসির পাশেই রয়েছে বিশ্বকাপ। ট্রফিটিকে একেবারে আগলে রেখেছেন মেসি। তিনি ছবির ক্যাপশনে সকলকে কেবল সুুপ্রভাত জানান। মেসির পোস্ট করা সেই ছবি হু হু করে ভাইরাল হয়েছে। পোস্ট করার এক ঘন্টা পার হওয়ার আগেই ইনস্টাগ্রামে সেই ছবিতে ইতিমধ্যেই ১০ মিলিয়নের অধিক লাইক পড়ে গিয়েছে, ফেসবুকে লাইকের সংখ্যা তিন মিলিয়নের অধিক।


দেশে প্রত্যাবর্তন


দেশে ফিরলেন বিশ্বজয়ীরা। একেবারে রাজকীয় অভ্য়র্থনা বরণ করে নেওয়া হল তাঁদের। আর্জেন্তিনাকে (Argentina) ৩৬ বছর পর বিশ্বচ্যাম্পিয়ন করে বুয়েনস আয়ার্সে ফিরল নীল-সাদা শিবিরে। বুয়েনস আয়ার্সের একটি উঁচু বিল্ডিং জুড়ে লিওনেল মেসির বিশালাকার ছবি ফুটে উঠেছে। তারই নীচে জড়ো হয়েছিলেন ১০ লক্ষের বেশি মানুষ। নায়কদের জন্য  বিমানবন্দরের বাইরে অপেক্ষা করছিল হুডখোলা বাস। ট্রফি হাতে তাতে চেপেই শহর প্রদক্ষিণ করেন মেসিরা। বুয়েনস আয়ার্সের রাজপথে তখন ভিড়ে ভিড়াকার। ফুটবলাররা মোবাইলে বন্দি রাখলেন মুহূর্তগুলি। অনুরাগীরাও নায়কদের মুঠোবন্দি করে। রাজধানীর বিখ্যাত ওবেলিক্স মনুমেন্টের নিচে সংবর্ধিত করা হয়েছে মেসিদের। আর্জেন্তিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্ডেজ মঙ্গলবার জাতীয় ছুটি ঘোষণা করেছিলেন।