রানাঘাট: কেন্দ্রের (centre) বিরুদ্ধে ফের বঞ্চনার (deprivation) অভিযোগে সরব মুখ্যমন্ত্রী (CM) মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের (mamata banerjee)। রানাঘাটের (ranaghat) প্রশাসনিক সভায় (administrative meeting) বললেন, '১০০ দিনের (MGNREGA) কাজে টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্র। তার পরও ২৮ লক্ষ জব হোল্ডারকে কাজ দিয়েছি।'


কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী?
এদিনের প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্য়মন্ত্রী বলেন, 'ভোট আসলেই ক্যা ক্যা। ৫ তারিখ থেকে ভোটার লিস্টের কাজ শুরু হয়েছে। যাঁরা এই কাজ করছেন তাঁদের অনুরোধ করব, দয়া করে সকলের নাম তুলবেন। ১৮ বছর হচ্ছে বা হতে যাচ্ছে, তাঁদের নামগুলি নির্বাচন কমিশনের নিয়ম মেনেই তুলবেন।' এর পরেই সংযোজন, 'অন্য ধর্মের বলে কারও নাম দয়া করে বাদ দেবেন না।' তাঁর অভিযোগ, অন্য কিছু রাজ্যের সীমান্ত এলাকার কোনও কোনও জায়গায় ৩০ শতাংশ লোক বাদ দেওয়া হয়েছে। সীমান্তে বিএসএফের 'অন্যায় অত্যাচার' যাতে না হয়, সে নিয়েও সতর্ক করেছেন পুলিশ-প্রশাসনকে। যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোয় যে সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্কের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে, বিএসএফের এক্তিয়ার প্রসঙ্গ তুলে ফের এদিন সে কথা মনে করিয়ে দেন মমতা। কোনও সমস্যার ক্ষেত্রে কাউন্সিলর, বিধায়করা যাতে সচেতন থাকেন, সে নিয়েও বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী। ১০০ দিনের প্রকল্পে টাকা না নিয়েও অভিযোগ করেন এরই মধ্যে। প্রসঙ্গত, এর আগেও একাধিকবার এই নিয়ে সুর চড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। 


প্রকল্পে টাকা না দেওয়ার 'খেদ'...
কয়েক মাস আগে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে পুজো উদ্যোক্তাদের সঙ্গে বৈঠকে তৃণমূলনেত্রী বলেছিলেন, 'পুজো করতে গেলে খরচ তো আছেই। কেন্দ্র আমাকে পয়সা দিচ্ছে না। একশো দিনের কাজের টাকাই নেই। সব প্রকল্পের বরাদ্দ কমিয়ে দিয়েছে।' তা সত্ত্বেও বিশ্বের অন্যতম সেরা উৎসব যাতে কোনও ভাবে ধাক্কা না খায়, সে জন্য একাধিক ব্যবস্থার কথা বলেন তিনি। তার আগে, এপ্রিল মাসে মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন কেন্দ্রের কাছে রাজ্য সরকারের বকেয়ার পরিমাণ ৯৭ হাজার কোটি টাকারও বেশি। যদিও বিজেপি সে কথা মানতে চায়নি। বরং তাদের বক্তব্য ছিল, বাংলার সরকার মাত্র ৪ হাজার ২৯২ কোটি টাকা পায়। গত মার্চে এই মর্মে তিনি অভিযোগ করেছিলেন, '৯০ হাজার কোটি টাকার বেশি কেন্দ্রীয় সরকারের থেকে পাই। জিএসটি নিয়ে যাচ্ছে, সেই ভাগ পুরো দিচ্ছে না। রাজ্য থেকে টাকা তুলে নেয়, টাকা দেয় না। তাতে বড় বড় নাম দেয়, কেন্দ্রীয় সরকারের নামে, চিঠি পাঠায়।' উল্লেখ্য, সপ্তাহদুয়েক আগেই আবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ট্য়ুইট করে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে আর্জি জানিয়েছিলেন রাজ্যকে যেন আর ঋণ না দেওয়া হয়। লেখেন, 'দুর্ভাগ্যজনক ভাবে ঋণ নেওয়ার ঊর্ধ্বসীমা পার করে ফেলেছে রাজ্য। রাজ্যের ঘাড়ে ঋণের বোঝা অন্তত ৬ লক্ষ কোটি টাকা।' এই পরিস্থিতিতে রাজ্যকে আর ধার না দিতে আবেদন করেছেন শুভেন্দু। 


আরও পড়ুন:মদের দোকান খুলবে সরকার, ডাকা হল টেন্ডার, কেন্দ্রের কাছে পাওনা আটকে থাকাতেই কি সিদ্ধান্ত!