শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: স্কুলের ২টি টিউবওয়েলের ১টি খারাপ, আরেকটির জল ব্যবহারের অযোগ্য। অভিযোগ, বিডিও অফিসে জানিয়েও সুরাহা হয়নি। প্রচণ্ড গরমে তীব্র জলকষ্টে কোচবিহারের তুফানগঞ্জের নয়নেশ্বরী স্পেশাল ক্যাডার প্রাইমারি স্কুল। বিষষয়টি খতিয়ে দেখে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন বিডিও।


গরমে তীব্র জলকষ্ট কোচবিহারের স্কুলে: মিড ডে মিল (Mid Day Meal) খাওয়ার সময় হোক বা অন্য সময়। কাঠফাটা এই গরমে ইচ্ছে মতো গলা ভেজানোরও উপায় নেই। বোতলের জল শেষ হয়ে গেলে কী হবে। আবার, পাশের বাড়িতে গিয়ে চাইতে হবে পানীয় জল। যেমন ভাবে চেয়ে আনা জল দিয়ে রান্না হয় মিড ডে মিল। তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে বাংলা। জেলায় জেলায় দেখা দিয়েছে তীব্র জলকষ্ট। এরই মধ্যে এই ছবি কোচবিহারের তুফানগঞ্জের নয়নেশ্বরী স্পেশাল ক্যাডার প্রাইমারি স্কুলে। স্কুলে ২টি টিউবওয়েল রয়েছে। তার ১টি খারাপ এবং অপরটির জল ব্যবহারের অযোগ্য। তাই বাড়ি থেকে আনা বোতলের জল শেষ হয়ে গেলে পাশের বাড়ি থেকে বোতল ভরে আনে পড়ুয়ারা। এক অভিভাবক বলেন, “বাড়ি থেকে বোতলে জল নিয়ে আসে। এখানে তো জল শেষ হবেই। এখানে তো জল পাচ্ছে না ওরা। পাশের বাড়ি থেকে জল এনে খায় ওরা।’’                              

শুধু তাই নয়, রান্নার জন্যও জল চেয়ে আনতে হয় পাশের বাড়ি থেকে। স্কুলের রাঁধুনি লীলা মজুমদার বলেন, “স্কুলে  কল আছে। কিন্তু, জল ভাল নয়। জল দিয়ে থালাও ধোয়া যায় না। মিড ডে মিলের রান্নার জন্য পাশের বাড়ি থেকে জল আনা হয়।’’ স্কুলের পড়ুয়ার সংখ্যা ৫০। কর্তৃপক্ষের দাবি, দীর্ঘদিন ধরেই জল কষ্টে ভুগছে স্কুল। গরম পড়তে আরও তীব্র হয়েছে জল কষ্ট। স্কুলের প্রধান শিক্ষক উজ্জ্বল সরকার বলেন, “আমাদের বিদ্যালয়ে সবচেয়ে প্রধান যে সমস্যাটা জলের সমস্যা। জলটা যেমন মিড ডে মিলের রান্নার ওনারা পাশের বাড়ি থেকে নিয়ে আসেন। জল শেষ হলে পাশের বাড়ি যেতে হয়। এতে অনেকে বিরক্ত বোধ করেন।’’ অভিযোগ, জল সংকটের কথা বিডিও অফিসে জানিয়েও সুরাহা হয়নি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তুফানগঞ্জ ১-এর বিডিও দেবর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায়।


আরও পড়ুন: South 24 Parganas: বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জের ! স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে