কলকাতা: দীর্ঘ প্রায় দু'বছর করোনার করাল গ্রাসে বিপর্যস্ত মানব জীবন। বর্তমানে পরিস্থিতি অনেকখানি নিয়ন্ত্রনে আসায় সমস্ত বিধি নিষেধ তুলে নেওয়া হয়েছে। করোনার চতুর্থ ঢেউ আছড়ে পড়ায় চিন্তার ভাঁজ পড়েছে স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকদের।বাড়ানো হয়েছে টিকাকরণের সংখ্যা। জোর কদমে চলছে বুস্টার ডোজের প্রক্রিয়া। বিগত ১১ দিনে করোনায় মৃত্যু সংখ্যা শূন্য ছিল বাংলায়। কিন্তু রবিবার ফের নতুন করে সংক্রমিত হয়েছে ৩৬ জন মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। নতুন করে সংক্রমণ ও মৃত্যুর খবর মেলায় উদ্বেগ বাড়ছে বিশেষজ্ঞদের মনে।
দেশে কোভিড-গ্রাফের ওঠানামা চলছেই। ফের কমল দৈনিক আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রবিবারের প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৯৬ জন। গতকাল দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১ হাজার ২৬০।
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৮১ জনের। গতকাল দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৮৩। এখনও পর্যন্ত দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৫ লক্ষ ২১ হাজার ৩৪৫ জনের। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪ কোটি ৩০ লক্ষ ২৮ হাজার ১৩১। বিশ্বে এখনও পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৬১ লক্ষ ৫০ হাজার ৫৪৫ জনের। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪৯ কোটি ৩ লক্ষ ৩৯ হাজার ৮৪৩।
এদিকে, করোনার সংক্রমণ কমায় ১ এপ্রিল থেকে রাজ্যে করোনার বিধিনিষেধ শিথিল হয়েছে। দেশে স্বাভাবিক হয়েছে আন্তর্জাতিক উড়ান পরিষেবা। রাজ্যে কমেছে রাজ্যের করোনাভাইরাস সংক্রমণ। বেড়েছে সুস্থতার হার। সেই প্রেক্ষিতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য ও কেন্দ্র।
অন্যদিকে, ওমিক্রনের BA.1 এবং BA.2 উপপ্রজাতির সংমিশ্রণের ফলেই XE প্রজাতির উৎপত্তি। নতুন এই প্রজাতি ওমিক্রনের তুলনায় ১০ গুণ বেশি সংক্রামক বলে বিশেষজ্ঞদের দাবি। যদিও এটি প্রথম পাওয়া গিয়েছে এমনটা নয়। নতুন মিউট্যান্ট XE -এর সন্ধান জানুয়ারি মাসেই জেনেছিল বিশ্ব। XE রিকম্বিন্যান্ট (BA.1-BA.2) ব্রিটেনে প্রথম পাওয়া যায়। সেই সময় এর সংক্রমক চরিত্র নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। তবে সম্প্রতি এই নয়া প্রজাতিতে আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা বাড়তেই চিন্তা বেড়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে বলা হয়েছে যে নতুন ও পুরোনো স্ট্রেনের মধ্যে সংক্রমণ এবং রোগের বৈশিষ্ট্যগুলিতে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য রয়েছে। কিন্তু বিশদে এখনও কিছু বলা সম্ভব নয় বলেই দাবি তাঁদের।