কলকাতা: রাজ্যে (West Bengal) ফের উদ্বেগ বাড়াচ্ছে সংক্রমণের (Covid19) বাড়বাড়ন্ত। একলাফে বাড়ল দৈনিক করোনা সংক্রমণের (Corona Infection) সংখ্যা। রাজ্যে একদিনে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২৯৫ জন। সংক্রমণের হার ২.৬২%। রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণ বাড়লেও, মৃত্যুর সংখ্যা শূন্য। উল্লেখ্য, একদিনে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৬৩ জন।


 



দেশে (India Corona) ফের উদ্বেগজনক হয়ে উঠছে করোনা পরিস্থিতি। গত ২৪ ঘণ্টায় সাড়ে ১২ হাজার পেরিয়ে গেল করোনা সংক্রমণ। বাড়ল দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যাও। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১২ হাজার ৮৪৭ জন। গতকাল দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১২ হাজার ২১৩। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের। গতকাল দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ১১। এখনও পর্যন্ত দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৫ লক্ষ ২৪ হাজার ৮১৭ জনের। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪ কোটি ৩২ লক্ষ ৭০ হাজার ৫৭৭। বিশ্বে এখনও পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৬৩ লক্ষ ১৬ হাজার ৫০ জনের। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫৩ কোটি ৭৭ লক্ষ ৬৯ হাজার ৩৮।


রাজ্যে করোনার টিকাকরণ গতি হারিয়েছে। ভ্যাকসিন ও প্রিকশন ডোজ দেওয়ার  গতি বাড়াতে বাড়ি বাড়ি প্রচারে জোর দিল স্বাস্থ্য দফতর। DM, CMOH-দের নির্দেশিকা দিল সরকার। অন্যদিকে, করোনায় মৃত্যুর পর ময়নাতদন্তে সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে নতুন পদ্ধতি উদ্ভাবনের দাবি করলেন আর জি করের ৩ চিকিত্সক। 


নতুন করে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে করোনা। এক দিনে সংক্রমণ বাড়ল ৭০ শতাংশেরও বেশি। স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত বুধবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ৩০০ ছুঁই ছুঁই সংক্রমণ। সংখ্যায় কম হলেও ঘটছে মৃত্যুর ঘটনা। এই প্রেক্ষিতে টিকাকরণে গতি নিয়ে উদ্বিগ্ন রাজ্য। 


DM, CMOH, ও কলকাতা পুরসভার CMHO-কে দেওয়া নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, গত বছর দ্রুততার সঙ্গে টিকাকরণ হলেও এই বছর টিকাকরণ গতি হরিয়েছে। বাড়ি বাড়ি সমীক্ষা ও প্রচার করে সেই ভ্যাকসিনেশনের গতিতে একটা ধাক্কা দিতে হবে। তার জন্য রাজ্যে সব জেলায় আলাদ টিম গঠন করা হবে। সেই টিম খতিয়ে দেখবে, কারা টিকা বা প্রিকশন ডোজ নিয়েছেন, কারা এখনও বাকি।


অন্যদিকে, আশার আলো জাগিয়েছেন, আর জি করের ডিপার্টমেন্ট অফ ফরেন্সিক সায়েন্স ও টক্সিকলোজির বিভাগীয় প্রধান সোমনাথ দাস ও তাঁর ২ সহকারী। দাবি, করোনায় মৃত্যুর পর ময়নাতদন্তে সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে নতুন পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন তাঁরা। 


গবেষক চিকিত্সক জানিয়েছেন, করোনায় মৃত্যু হয়েছে এমন কারও ময়নাতদন্তের সময় যে সংক্রণমের আশঙ্কা থাকে, আবিষ্কৃত পদ্ধতি তা অনেকটা কমাতে পারে। কারণ, এই পদ্ধতিতে ময়নাতদন্ত করার সময় অনেক কম ড্রপলেট তৈরি হয়। ব্রিটিশ মেডিক্যাল জার্নাল- ‘ক্লিনিক্যাল প্যাথলজি’তে প্রকাশের জন্য গৃহীত হয়েছে এই পদ্ধতির কথা।