রাজকোট: পূর্ব ভারত থেকে পশ্চিম ভারত। সিরিজের মঞ্চ পাল্টে গিয়েছে। কিন্তু ছবিটা অপরিবর্তিত। কটকের বরাবাটি স্টেডিয়ামে আগের ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সিরিজ বাঁচাতে নেমেছিল ভারত (Ind vs SA)। শুক্রবার রাজকোটে সৌরাষ্ট্র ক্রিকেট সংস্থার মাঠেও প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে মরণ-বাঁচন ম্যাচ টিম ইন্ডিয়ার (Team India)। যে ম্যাচ জিতলে টি-টোয়েন্টি সিরিজ বেঁচে থাকবে। আর হারলে শেষ ম্যাচ হয়ে পড়বে নিয়মরক্ষার।
আর এই পরিস্থিতিতে ভারতীয় দলের সবচেয়ে বড় অস্ত্র হয়ে দাঁড়াতে পারে দলীয় সংহতি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজের তিনটি ম্যাচেই একই দল খেলিয়েছে ভারত। প্রতম দুই ম্যাচ হারতে হলেও তৃতীয় ম্যাচে প্রথম একাদশে কোনও বদল করেনি টিম ইন্ডিয়ার থিঙ্ক ট্যাঙ্ক। যেন দলের ক্রিকেটারদের বুঝিয়ে দেওয়া যে, কঠিন সময়ও দল তোমাদের পাশে রয়েছে।
যার ফলও মিলেছে হাতেনাতে। তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে নজির গড়ে জিতেছে ভারত। যে ম্যাচে ভারতীয় ওপেনাররা দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ভারতের টি-টোয়েন্টি দ্বৈরথের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রানের পার্টনারশিপ গড়েছিলেন। ছন্দে ফিরেছেন ভুবনেশ্বর কুমার। বল দুদিকে স্যুইং করিয়ে আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছেন ভুবি। যিনি এই সিরিজে বাড়তি দায়িত্বও পেয়েছেন। দলের সহ অধিনায়ক তিনি।
তবে রাজকোটে ভারতীয় দলের কাঁটা হতে পারেন কুইন্টন ডি'কক। ভারতের বিরুদ্ধে যাঁর ঈর্ষণীয় রেকর্ড। আইপিএলে দুরন্ত ফর্মে ছিলেন। আইপিএলের নতুন দল লখনউ সুপারজায়ান্টসকে প্লে অফে তোলার নেপথ্যে অন্যতম বড় কারণ ছিল ডি'ককের ফর্ম। তবে কব্জির চোটের জন্য তিনি সিরিজের দুটি ম্যাচে খেলতে পারেননি। ওপেনিং নিয়ে সমস্যায় পড়েছে প্রোটিয়া শিবিরও। তবে ভারতীয় দলের জন্য খারাপ খবর হল, কুইন্টনের চোট আগের চেয়ে অনেকটাই ভাল। বৃহস্পতিবার নেটে ব্যাটও করেছেন। তিনি খেলতে পারলে ভারতীয় বোলারদের কাজটা যে অনেক কঠিন হয়ে পড়বে, বলার অপেক্ষা রাখে না।
আরও পড়ুন: ভয়ঙ্কর বাটলার, ওয়ান ডে ক্রিকেটে ইতিহাস গড়ল ইংল্যান্ড