নয়া দিল্লি: এখনও রাজ্যে করোনা মৃত্যু নিয়ে চিন্তা বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ৩২ জন। নতুন করে করোনা সংক্রমিত হয়েছে ৭৩৬ জন। সংক্রমণের নিরিখে এই সংখ্যা অনেকটাই কম। কিন্তু দৈনিক মৃত্যু এখনও ৩০ এর ওপরেই। রাজ্যে পজিটিভিটি রেট কমে গেলেও করোনা কোপে প্রাণহানি এখনও ত্রিশের ওপরেই রয়েছে। আর এই কোভিড-সম্পর্কিত মৃত্যুর সংখ্যা রাজ্যে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বর্তমানে। 


রাজ্যে দৈনিক সুস্থতার সংখ্যা ১ হাজার ৫৫৯ জন। গতদিন যা ছিল ১ হাজার ৭৭২ জন। শতাংশের বিচারে সুস্থতার হার বেড়ে হয়েছে ৯৮.১৬%। টানা তিন সপ্তাহের বেশি সময় পর গতদিন এ রাজ্যে করোনায় প্রাণহানির সংখ্যা ৩০-য়ের নীচে ছিল। মৃত্যু হয়েছিল ২৯ জনের। তবে গত ২৪ ঘন্টায় কোভিডে বাংলায় প্রতিদিনের প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২ জনে। বঙ্গে মৃত্যু হার ১.০৪ শতাংশ।


মৃত্যু হার না কমায় চিন্তিত চিকিৎসকরা। পশ্চিম বর্ধমানেই একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের। এরপর রয়েছে কলকাতা। মহানগরে করোনা কোপে মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। চিকিৎসক কাজল কৃষ্ণ বণিকের মতে, আগামী দিনে ধীরে ধীরে কমবে পজিটিভিটি রেট। কিন্তু যদি সুরক্ষা ব্যবস্থাকে ঢিলে করা হয়। তাহলে ফের বাড়তে পারে সংক্রমণ। তিনি এও বলেন যে, "করোনায় তিন রকমের রোগীর মৃত্যু হচ্ছে। এক কোমর্বিডিটি থাকা বয়স্ক ব্যক্তি। যাঁদের আগের কিছু গুরুতর রোগ ছিল। যাঁদের কোভিড মারাত্মকভাবে প্রভাব ফেলছে।" 


এদিকে, ফের বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে মাত্রাতিরিক্ত বিলের অভিযোগ। রোগীর পরিবারকে টাকা ফেরত দেওয়ার পাশাপাশি জরিমানাও করল স্বাস্থ্য কমিশন। করোনা (COVID-19) আক্রান্ত হওয়ায় কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন ব্যারাকপুরের বাসিন্দা ডালিয়া গোস্বামী। সেখানে ২৯ দিনে চিকিৎসার খরচ বাবদ বিল ধরানো হয় ২৯ লক্ষ ৬৪ হাজার টাকার। এর মধ্যে শুধু ওষুধের বিলই ১০ লক্ষ টাকার। বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা বাবদ নেওয়া হয়েছে সাড়ে চার লক্ষ টাকা। চিকিৎসা সরঞ্জামের বিল ধরা হয়েছে দু’লক্ষ টাকা।


রাজ্য স্বাস্থ্য কমিশনের চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অসীম কুমার বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘ওই বিল পর্যালোচনা করেছে কমিশন। স্বাস্থ্য কমিশনের চেয়ারম্যান আরও জানিয়েছেন, ‘পঞ্চমবার একই অভিযোগ ফের উঠল। তাই আমরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করলাম।’