বিষ্ণুপুর (দক্ষিণ ২৪ পরগনা) : বিষ্ণুপুরে (Bishnupur) সিপিএম (CPIM) কর্মী খুনের প্রতিবাদ-সভায় (Protest) পুলিশকে (Police) আক্রমণ করতে গিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য মহম্মদ সেলিমের (MD. Selim)। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সভামঞ্চ থেকে বলেন, ‘পুলিশকে কেন মাইনে দিয়ে রাখা হয়েছে? কুকুর পুষলেই তো হয়।শুঁকে শুঁকে বলে দিতে পারে।’


এখানেই না থেকে আক্রমণের ঝাঁঝ আরও বাড়ান তিনি। মহম্মদ সেলিম জোড়েন, ‘কয়েকজন এসপিকে ছেড়ে দিয়ে কয়েকটা বিদেশি কুকুরকে ট্রেনিং দিলেই হয়। বিদেশি কুকুরকে ট্রেনিং দিলেই তো খুনের কিনারা হয়ে যাবে।’ যা নিয়ে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।


পুলিশকে আক্রমণ শানিয়ে মহম্মদ সেলিম বলেছেন, 'এখানে আমরা প্রতিবাদ সভা করছি, আর ওরা সুড় সুড় করে ওখানে গেছে। আগেই তো ওখানে যাওয়া উচিত ছিল। ঘটনার দিনই তো যাওয়া উচিত ছিল। বয়ান রেকর্ড করা উচিত ছিল। লোক দেখানো হচ্ছে, মাকে জিজ্ঞেস করছে আপনার কাউকে সন্দেহ হয়। যার নাম বলবে তার কাছে যাবে? এর জন্য পুলিশ রাখার কী দরকার ছিল, কয়েকটা কুকুর পুষলেই তো হত।'


যার পরই তিনি জোড়েন, 'পুলিশের কুকুররা শুঁকে শুঁকে গিয়ে সন্দেহভাজনকে দেখিয়ে দিতে পারে। তাহলে কয়েকটা এসপিকে সরিয়ে কয়েকটা ট্রেনিং পাওয়া বিদেশি কুকুর রাখলেই তো খুনের কিনারা হয়ে যাবে।'




এদিকে, কাশীপুরের বিজেপি কর্মী খুনের প্রেক্ষিতে এখনও সরগরম রাজ্য রাজনীতি। শনিবার আদালতের নির্দেশে আলিপুর ইস্টার্ন কম্যান্ড হাসপাতালে মৃত বিজেপি যুব মোর্চা নেতার দেহের ময়নাতদন্ত হয়। এরপর দেহ নিয়ে যাওয়া হয় আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেখান থেকে মৃতদেহ হস্তান্তর করা হয় পরিবারের হাতে। এরপর আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে বিজেপি যুব মোর্চা নেতা অর্জুন চৌরাসিয়ার দেহ নিয়ে যাওয়া হয় বিজেপির রাজ্য দফতরে। সেখানে শ্রদ্ধা জানান দিলীপ ঘোষ, সুকান্ত মজুমদার, কল্যাণ চৌবে, প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল, সজল ঘোষরা। শ্রদ্ধা জানানোর পর দেহ নিয়ে যাওয়া হল কাশীপুরের বাড়িতে। তারপর নিমতলা শ্মশানে শেষকৃত্য হবে।


আরও পড়ুন- 'বিজেপি সরকার গ্রেট ইন্ডিয়া লুঠ' চালাচ্ছে', রান্নার গ্যাসের দামবৃদ্ধি নিয়ে আক্রমণ মমতার