কলকাতা: SIR-এর পর প্রকাশিত হল পশ্চিমবঙ্গের খসড়া ভোটার তালিকা। সব অভাব-অভিযোগ খতিয়ে দেখে, চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করবে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। তবে তার আগেই ভোটারদের সিরিয়াল নম্বর বা ক্রমিক সংখ্য়া বদলে গেল। নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে গিয়ে নিজের নাম খুঁজতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে, আগের সিরিয়াল নম্বরের সঙ্গে এখনকার সিরিয়াল নম্বর মিলছে না। কেন এমন হচ্ছে, এক্ষেত্রে কী করণীয় জানুন। (Draft Voter List WB)

Continues below advertisement

নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটি গিয়ে এপিক নম্বর দিয়ে অথবা নাম-এলসাকার নামের ভিত্তিতে খসড়া তালিকায় নাম দেখা যাচ্ছে। পোলিং বুথ, অর্থাৎ যেখানে গিয়ে ভোট দেন, সেই সংক্রান্ত তথ্যও থাকছে। আর সেই তালিকাতেই সিরিয়াল নম্বরে রদবদল চোখে পড়ছে এই মুহূর্তে। অর্থাৎ কারও সিরিয়াল নম্বর আগে যদি ২০০ ছিল, তা এখন ১৭০ বা ১৮০ হয়ে যেতে পারে।  (SIR in Bengal)

ভোটার তালিকা নতুন করে আপডেট করাতেই সিরিয়াল নম্বরে এই ফারাক চোখে পড়ছে। এলাকার মৃত, নিখোঁজ, স্থানান্তরিত এবং ডুপ্লিকেট ভোটার চিহ্নিত করে আগের ভোটার তালিকায় কাটছাঁট করেছে কমিশন এবং সেই তথ্য়ানুসারে নতুন তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। বহু ভোটারের নাম বাদ যাওয়াতেই সিরিয়াল নম্বর এগিয়ে এসেছে অনেকের।

Continues below advertisement

নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে নিজের এপিক নম্বর বা অন্য তথ্য দিলেই ছবি ছাড়া ভোটার কার্ডের তথ্য ফুটে উঠছে। এটা আগেও দেখা যেত। তবে সেটি ছিল ২০২৫ সালের ভোটার তালিকা অনুযায়ী। সেই ২০২৫-এর সিরিয়াল নম্বর এবার বদলে গিয়েছে। ফলে ভোটার তালিকায় নাম থাকলেও, সিরিয়াল নম্বর বদলে গেলে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। কমিশন সূত্রে খবর, ৫৮ লক্ষের নাম বাদ গেলে সিরিয়াল নম্বর বদলানোই স্বাভাবিক। এনুমারেশন ফর্মের যে প্রতিলিপি ভোটারের কাছে রয়েছে, তাতে আগের সিরিয়াল নম্বর লেখা রয়েছে। সেটি ধরে এখনকার সিরিয়াল নম্বরের সঙ্গে মিলিয়ে নেওয়া যাবে। শুধু তাই নয়, এই সিরিয়াল নম্বরও আগামী বদলে যেতে পারে। অভিযোগ-অনুযোগ খতিয়ে দেখে আরও রদবদল ঘটানো হতে পারে তালিকায়। ফলে চূড়ান্ত তালিকা আসতে আসতে সিরিয়াল নম্বর ফের বদলে যেতে পারে।

 voters.eci.gov.in এই ওয়েবসাইটে ক্লিক করলেই মিলছে খসড়া ভোটার তালিকা। পাশাপাশি GOOGLE PLAY STORE বা APP স্টোর থেকে কমিশনের অ্যাপ ECINET ডাউনলোড করলে সেখান থেকেও দেখা যাচ্ছে খসড়া ভোটার তালিকা। এছাড়াও electoralsearch.eci.gov.in/ নতুন ওয়েবসাইটের কথা জানিয়েছে কমিশন। পাশাপাশি, খসড়া ভোটার তালিকা মিলবে BLO-র কাছেও।

আগামী ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত জানানো যাবে তালিকা সংক্রান্ত যাবতীয় অভিযোগ। যেগুলো খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ নেবে নির্বাচন কমিশন। প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট ভোটারকে ডাকা হবে শুনানিতে। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, আজ থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত খসড়া ভোটার তালিকা সংক্রান্ত শুনানি এবং ভেরিফিকেশন চলবে। চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে ১৪ ফেব্রুয়ারি।