কলকাতা: ভোট শুরুর আগেই বালিগঞ্জের অশোক হল স্কুলের বুথে উত্তেজনা। বিজেপির পোলিং এজেন্টকে বসতে না দেওয়ার অভিযোগ উঠল প্রিসাইডিং অফিসারের বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে সেখানে যান বিজেপি প্রার্থী কেয়া ঘোষ। শুরু হয় বচসা। সেক্টর অফিসারকে ফোন করে অভিযোগ জানান বিজেপি প্রার্থী। ওই পার্টের বাসিন্দা নন পোলিং এজেন্ট, তাই বাধা, দাবি প্রিসাইডিং অফিসারের। পরে অবশ্য বিজেপি প্রার্থীর উপস্থিতিতে তাঁর এজেন্টকে বুথে বসতে দেওয়া হয়।
আর কোথায় কোথায় অভিযোগ?
পাঠভবন স্কুলে উত্তেজনা। বুথের ভিতরে কেন কলকাতা পুলিশের কর্মীরা? কেন্দ্রীয় বাহিনীকে প্রশ্ন করেন বিজেপি প্রার্থী কেয়া ঘোষ। মডার্ন হাইস্কুলেও একই বিষয় নিয়ে আপত্তি জানান বিজেপি প্রার্থী। কলকাতা পুলিশের কর্মীদের বুথের ১০০ মিটারের বাইরে থাকার কথা। বিধি ভেঙে কেন তাঁরা বুথের ভিতর? প্রশ্ন বিজেপি প্রার্থীর।
রিগিংয়ের অভিযোগ
খবর পাচ্ছি রিগিংয়ের জন্য লোক জড়ো করা হচ্ছে। আমরা প্রতিরোধের চেষ্টা করব। দাবি বালিগঞ্জের সিপিএম প্রার্থী সায়রা শাহ হালিমের। দিলেন উপ নির্বাচন থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর বার্তা।
ভোটের মাঝে কুশল বিনিময়
পার্ক সার্কাসের লেডি ব্রেবোর্ন কলেজে হঠাৎ দেখা তৃণমূল প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয় ও কংগ্রেস প্রার্থী কামরুজ্জামান চৌধুরীর। চলল কুশল বিনিময়।ভোটের সকালে সৌজন্যের ছবি বালিগঞ্জ বিধানসভায়।
আজ আসানসোল লোকসভা ও বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে উপ নির্বাচন। দুটি কেন্দ্রেই চতুর্মুখী লড়াই হচ্ছে। আসানসোলে ১২১ ও বালিগঞ্জে ১৭, সব মিলিয়ে দুটি কেন্দ্রে মোতায়েন ১৩৮ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের প্রতিটি বুথই স্পর্শকাতর। ৫১ শতাংশ অর্থাৎ, দেড় হাজার বুথে থাকবে ওয়েব কাস্টিং ব্যবস্থা। আসানসোলে মোট ৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বী হলেও, মূল লড়াই হচ্ছে তৃণমূলের তারকা প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিন্হা, বিজেপির অগ্নিমিত্রা পাল, সিপিএমের পার্থ মুখোপাধ্যায় ও কংগ্রেসের প্রসেনজিৎ পুইতণ্ডির মধ্যে।
অন্যদিকে, বালিগঞ্জে ৩০০-র মধ্যে ২৩টি বুথ স্পর্শকাতর। এখানে মোট ১০ জন প্রার্থী হলেও, সবার নজর মূলত চারজনের ওপরেই। বালিগঞ্জে তৃণমূলের বাজি বাবুল সুপ্রিয়। বিজেপির প্রার্থী কেয়া ঘোষ। সিপিএমের হয়ে লড়াইয়ে নাসিরুদ্দিন শাহের ভাইঝি সায়রা শাহ হালিম। কংগ্রেসের প্রার্থী কামরুজ্জামন চৌধুরী। শনিবার দুই কেন্দ্রে উপ নির্বাচনের ফল ঘোষণা।