আবির দত্ত, সমীরণ পাল, কলকাতা : কনস্টেবল নিয়োগে তৎপর রাজ্য সরকার (West Bengal Government)। আর রাজ্য পুলিশের সেই কনস্টেবল পদের পরীক্ষাতেই উঠল ভুয়ো পরীক্ষার্থীর অভিযোগ। হোয়াটসঅ্যাপে প্রশ্ন ফাঁস থেকে শুরু করে, ভুয়ো পরীক্ষার্থী ভাড়া করে পরীক্ষা দেওয়া, ‍একাধিক অভিযোগ। রবিবার সল্টলেক, লেকটাউন ও হাওড়ার ব্যাঁটরা এলাকায় বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্রে অভিযান চালিয়ে একের পর এক ভুয়ো পরীক্ষার্থীকে গ্রেফতার করে পুলিশ (Police)।


কী তথ্য উঠে আসছে


পুলিশ সূত্রে খবর, কনস্টেবল (Constable) পরীক্ষায় ধৃত ভুয়ো পরীক্ষার্থীর সংখ্যা শতাধিক। উত্তর ২৪ পরগনা থেকে ধৃত ভুয়ো পরীক্ষার্থীদের মধ্যে একজন আইটিবিপি (ITBP), অন্যজন বিএসএফে (BSF) কর্মরত! ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট এলাকায় ৭৭ জন, বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট এলাকায় ৩৭ জন এবং হাওড়া পুলিশ কমিশনারেট এলাকায় ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। 


কীভাবে কাজ করত এই চক্র


পুলিশ সূত্রে দাবি, পরীক্ষা প্রতারণার পিছনে কাজ করছে বিহারের একটি বড় চক্র। ধৃত ভুয়ো পরীক্ষার্থীদের বেশিরভাগই বিহারের (Bihar) বাসিন্দা। ২০-২৫ হাজার টাকার বিনিময়ে অন্যের হয়ে রাজ্য পুলিশের কনস্টেবল পদে নিয়োগের পরীক্ষায় বসেছিলেন তাঁরা। অ্যাডমিট কার্ডে বদলে ফেলা হয়েছিল আসল পরীক্ষার্থীর ছবি। পুলিশ সূত্রে দাবি, কনস্টেবল পরীক্ষা প্রতারণার কিং পিন সন্তোষ সিং। তাঁকে বিধাননগর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।


আর কী অভিযোগ


অন্যদিকে, হোয়াটসঅ্যাপে (WhatsApp) কনস্টেবল পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুর থেকে রাকেশ হালদার নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে দাবি, নদিয়ার একটি কোচিং সেন্টার থেকে কনস্টেবল পরীক্ষার প্রশ্নপত্র পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন তিনি। 


সব মিলিয়ে আবার এক নিয়োগের পরীক্ষা ঘিরে একাধিক বিতর্ক।


আরও পড়ুন- মন্ত্রী-কন্যা অঙ্কিতার স্কুলে পৌঁছল চাকরি বরখাস্তের কপি, বেতন পাওয়া কত টাকা ফেরত দিতে হবে?


 


নেপথ্যে রয়েছে বিহারের একটি চক্র। প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে একজনকে।