সত্যজিৎ বৈদ্য, হাওড়া : সরকারি কর্মচারীদের (Government Employees) উদ্দেশে রাজ্য সরকারের ২ টি বিজ্ঞপ্তি নিয়ে তুঙ্গে উঠেছে বিতর্ক। সরকারের বিজ্ঞপ্তি হাস্যকর বলে মন্তব্য সরকারি কর্মচারীদের। নির্দেশিকার প্রেক্ষিতে কোমর বেঁধে প্রতিবাদে নামতে চলেছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ।
এমনিতেই বকেয়া ডিএ-র দাবিতে টানা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারি কর্মীদের উদ্দেশে শনিবার জারি করা নবান্নের (Nabanna) দুটি বিজ্ঞপ্তি ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। যার প্রথমটিতে বলা হয়েছে, পেন ডাউন কর্মসূচিতে সোমবার সামিল হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর অপর বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, এখন থেকে টিফিন টাইমে অফিসের বাইরে গিয়ে অন্য কোনও কাজ করতে পারবেন না সরকারি কর্মীরা।
যা নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের দাবি, তাঁরা কোনও পেন ডাউন কর্মসূচির ঘোষণাই করেননি সোমবার। তাহলে প্রশ্ন উঠছে, যে কর্মসূচি ঘোষণাই হয়নি, তার প্রেক্ষিতে কী করে বিজ্ঞপ্তি জারি হল ? অন্যদিকে, টিফিন টাইমে অন্য কোনও কাজে অংশ না নেওয়ার, বিজ্ঞপ্তিকে হাস্যকর বলে দাবি করেছেন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সদস্যরা। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের নেতা সৌমেন্দ্রনারায়ণ বসু বলেছেন, 'হাস্যকর। অশনি সঙ্কেত। একমাত্র জরুরি অবস্থায় এরকম হয়। বেসরকারি সংস্থার মালিকদের সঙ্গে জোটবন্ধ হয়ে সরকার এই পথ দেখাচ্ছে'।
২৪ মে বদলির প্রতিবাদে করুণাময়ীতে সমাবেশ করতে চলেছে সরকারি কর্মচারীদের বিভিন্ন সংগঠন। বিকাশ ভবনে ডেপুটেশনের ডাকও দেওয়া হয়েছে তাঁদের তরফে।
আরও পড়ুন- বেআইনিভাবে মজুত বাজিতে আগুন, ভস্মীভূত বাড়ি, মৃত ৩
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই বকেয়া ডিএ-র দাবিতে যাঁরা আন্দোলন করছেন, কিছুদিন আগেই তাঁদের কড়া বার্তা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 'ডিএ বাধ্যতামূলক নয়। এটা ঐচ্ছিক, টাকা থাকলে ভালবেসে দিতাম', বলেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি প্রয়োজনে রাজ্য সরকারি চাকরি ছেড়ে কেন্দ্রীয় সরকারের চাকরি দেখে নেওয়ার বার্তাও দেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী DA আন্দোলনকারীদের আক্রমণ শানিয়ে বলেছিলেন, ''অফিস টাইমে কাজ বন্ধ করে মিছিল, এটা সার্ভিস রুল ব্রেক হচ্ছে না ? রোজ শুধু না করার হুঙ্কার, আমি সহানুভূতিশীল।' যে বার্তার কিছুদিন পরেই নবান্নের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হল। এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজাও।
আরও পড়ুন: গরমের মরসুমে ত্বকের যত্নে ব্যবহার করুন অ্যালোভেরা, সমাধান পাবেন এইসব সমস্যা থেকে