জয়ন্ত রায়, হিন্দোল দে, পার্থ প্রতিম বিশ্বাস, বজবজ: এগরার পর বজবজ, ফের বেআইনি বাজি কারখানায় আগুন। বেআইনি বাজি কারখানার গোডাউনে বিধ্বংসী আগুন। বজবজের নন্দরামপুর দাসপাড়ায় বেআইনি বাজি কারখানায় আগুন। বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে ওঠে এলাকা, দাবি স্থানীয়দের। ঘটনাস্থলে দমকলের ২টি ইঞ্জিন।


বাড়িটির উপরে দোতলায় কাজ হচ্ছিল। পুলিশ সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত ৩ জনের মৃত্যুর খবর মিলছে। তাদের মধ্যে একজন নাবালিকা। ওই বাড়িটির গৃহবধূ এবং তাঁর শিশুও মারা গিয়েছে বলে সূত্রের খবর। মৃতদের মধ্যে দুজনের পরিচয় মিলেছে, পম্পা হাটি ও জয়শ্রী হাটি।


দমকল আসার আগেই আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেছিলেন স্থানীয়রা। এই এলাকার সামনে রাস্তা সরু। দমকলের গাড়ি প্রথমটায় ঢুকতে সমস্যা হয়েছে। এই এলাকায় আশেপাশে একাধিক পুকুর রয়েছে। সেখান থেকে জল নিয়ে আগুন নেভানোর কাজ শুরু হয়। বাড়িটির সিঁড়ি ও তলার ঘর একেবারে পুড়ে গিয়েছে। বাড়িটিতে বাজি তৈরির কাজ চলত বলে স্থানীয়দের দাবি। উপরের ঘরে গুদামে বাজি রাখা হতে বলে খবর। 


যদিও প্রশাসনের দাবি, এটা বাজির কারখানা নয়। ডিএফও, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, টিকে দত্ত বলেন, 'এটা আগুন। বিস্ফোরণ নয়। কোনও কারণে ঘরে আগুন লেগে যায়। ঘরের সামগ্রী দেখা গিয়েছে। প্রাথমিকভাবে বাজির কারখানা বোঝা যায়নি। কাল সকালের আগে কিছু বলা যাবে না। কীভাবে আগুন লেগেছে তা তদন্ত করে দেখা যাবে। বিস্ফোরণের কোনও ঘটনা নেই। আগুনের কারণে টিন ভেঙে পড়ায় দুজন আটকে পড়েছিলেন ভিতরে। একজনকে লোকজন বের করে নিয়েছিল। সম্ভবত তিনি বেঁচে নেই।'


যদিও সাধারণ বাসিন্দাদের দাবি, এই বাড়িটিতে বাজি তৈরি হতো। তুবড়ি বানানোর কাজ হতো। স্থানীয়দের একাংশের দাবি, বিস্ফোরণের শব্দ তাঁরা শুনতে পেয়েছেন। যদিও সেই সংক্রান্ত বিষয়ে এখনও কোনও বিষয় জানায়নি পুলিশ।


পুলিশের একটি সূত্রের খবর, এখানে বাজি কারখানা ছিল কিনা তা এখনও বোঝা যায়নি। তবে এখানে বাজি মজুত করা ছিল বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। চিংড়িপোতা অঞ্চলে যেখানে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে, সেখানে  বহু মানুষ বাজি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। ফলে এই এলাকায় বাজি তৈরি বা বাজি মজুতের ঘটনা হয়ে থাকতে পারে বলে সন্দেহ। 


আরও পড়ুন: গরমের মরসুমে ত্বকের যত্নে ব্যবহার করুন অ্যালোভেরা, সমাধান পাবেন এইসব সমস্যা থেকে