কলকাতা: বকেয়া ডিএ-র (DA Agitation) দাবিতে পিছিয়ে গেল অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট। বকেয়া ডিএ-র দাবিতে কাল থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। মাধ্যমিকের জন্যই সিদ্ধান্ত থেকে সাময়িকভাবে সরে দাঁড়াল সংগঠন।                 


পিছিয়ে গেল অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট: গত বছর ২৭ জানুয়ারি, শহিদ মিনারে আন্দোলন শুরু করে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। এক বছর পেরিয়ে গেলেও পূরণ হয়নি রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ-র দাবি। এখনও শহিদ মিনারে চলছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আন্দোলন। এই মুহূর্তে রাজ্য সরকারের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের ডিএ-র ফারাক ৩৬ শতাংশ। কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা ৪৬ শতাংশ হারে ডিএ পান। আর রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা পান ১০ শতাংশ হারে ডিএ।  গত সপ্তাহ থেকে শুরু হয়েছে অনির্দিষ্টকালের জন্য অনশন। এর পাশপাশি ২৯ জানুয়ারি থেকে লাগাতার ধর্মঘটেরও ডাক দেয় সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। কিন্তু আগামী সপ্তাহ থেকে শুরু হচ্ছে মাধ্যমিক পরীক্ষা। তাই আপাতত ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত থেকে সরে দাঁড়াল সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, 'মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখে পিছনোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মার্চের প্রথম সপ্তাহে হবে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট।'                        


এর আগে গত ২৩ জানুয়ারি আন্দোলনকারীদের মঞ্চে হাজির হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সরকারি কর্মচারীদের ফের একবার নবান্ন অভিযান কর্মসূচি করার আহ্বান জানান বিরোধী দলনেতা। এবিষয়ে সংগঠনের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ বলেছিলেন, "এই সরকার যে অমানবিক সেকথা উনি বলেছেন, সে তো আমরা দেখেইছি। গোটা রাজ্য়বাসী সেটা জেনে গেছে। পিকুলিয়ার বিষয়, এতদিন থেকে অনশন চলছে, আমরা মেডিক্য়াল টিমের, মেডিক্য়াল সাপোর্টের জন্য় আবেদন করেছি, তারপরেও কোনও মেডিক্য়াল সাপোর্ট আসে না। এই জিনিস আমার মনে হয় ব্রিটিশ আমলেও ঘটেনি। পরিস্থিতি যদি সেরকম থাকে, নবান্ন অভিযান হবে। নবান্নর সামনে তো আমরা অবস্থান করে এসেছি। অভিযানের থেকে বড় কাজ করে এসেছি ২ টো দিন ধরে, ৪৮ ঘণ্টা ধরে।'' 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।  


আরও পড়ুন: North 24 Parganas: পানীয় জল থেকে বঞ্চিত গ্রামবাসীরা, প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ মহিলাদের