কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা : গত বছর থেকে সারা রাজ্য তোলপাড় শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি (Teacher recruitment scam) নিয়ে। স্কুলে দুর্নীতিমুক্ত নিয়োগের দাবিতে চলছে আন্দোলন। চাকরির দাবিতে পথে বসছেন বিভিন্ন স্কুলে নিয়োগের পরীক্ষায় বসা যুবক-যুবতীরা। নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে কেন্দ্রীয় সংস্থা একের পর এক গ্রেফতারি করেছে। কিন্তু এরই মধ্যে রীতিমতো চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল এক সরকারি রিপোর্টে।
রাজ্যে ৮ হাজার স্কুল বন্ধের মুখে?
যেখানে সরকারি ও সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত স্কুলগুলিতে চাকরি পেতে এত আন্দোলন, যেখানে বেআইনি পথে নিয়োগের অভিযোগে রাশি রাশি মামলা ও গ্রেফতারি, সেই রাজ্যেই ৮ হাজার সরকারি সাহায্য প্রাপ্ত এবং স্পন্সরড স্কুল বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা, আর তাও স্রেফ পড়ুয়ার অভাবে । কলকাতারও অনেকগুলি স্কুল এই তালিকার অন্তর্ভুক্ত। প্রায় সব জেলা স্কুলই এই তালিকায় রয়েছে। এর মধ্যে যেমন রয়েছে প্রাক প্রাথমিক, প্রাথমিক স্কুল, তেমনই রয়েছে উচ্চ প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক স্কুলগুলিও (school closed) । এই তথ্য উঠে এসেছে এক সরকারি রিপোর্টেরই !
পড়ুয়া শূন্য ২২৬টি স্কুল
পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal) ৮ হাজার ২০৭ টি স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা এক্কেবারে তলানিতে। স্কুল বাড়ি আছে। শিক্ষক আছে। বেঞ্চ আছে, ব্ল্যাক বোর্ড আছে। ক্লাস শুরু ও শেষের ঘণ্টা আছে। শুধু নেই পড়ুয়া। রাজ্যের হাজার হাজার স্কুলে এখন পড়ুয়ার সংখ্যা নেমে গিয়েছে ৫০ এর নিচে। আর তার মধ্যে ২২৬ টি স্কুলে তো পড়ুয়াই নেই। মনে করা হচ্ছে, সরকারি সূত্রের দাবি , জন্মহার কমে যাওয়া এবং বেসরকারি স্কুলের বাড়বাড়ন্ত , এই পড়ুয়া কমে যাওয়ার নেপথ্য কারণ।
কেন এত ছাত্রছাত্রী কমছে সরকারি স্কুলে?
এমত পরিস্থিতিতে স্কুল শিক্ষা দফতর অন্যান্য দফতরকে তালিকা পাঠিয়ে আর্জি জানিয়েছে, ফাঁকা স্কুল কাজে লাগানোর জন্য । শূন্য স্কুলে সরকারি বেসরকারি যৌথ উদ্যোগেরও পরিকল্পনা চলছে। কেন এত ছাত্রছাত্রী কমছে সরকারি স্কুলে? উঠছে প্রশ্ন। শিক্ষক সংগঠনের একাংশের অভিযোগ, সরকারের নীতি আদতে স্কুলগুলিকে বন্ধ করার জন্য।
এখন এই সব স্কুলগুলির ভবিষ্যৎ কী? কোনও সরকারি উদ্যোগ কি নেওয়া হবে স্কুলগুলিকে বাঁচানোর জন্য ? নাকি এই বন্ধই হয়ে যাবে পাকাপাকি ভাবে ? উত্তরের অপেক্ষায় সকলে।
আরও পড়ুন :
দত্তপুকুরে ফ্য়াক্টরিতে গবেষণাগারের মতো অত্যাধুনিক মেশিন থেকে শিল্ড লাগানো হেলমেট ! পরতে পরতে রহস্য