সন্দীপ সরকার, কলকাতা : করোনার (Corona) প্রথম দুই ঢেউয়ের ভয়াবহতা দেখেছে দেশবাসী। শ্মশানে সারি সারি চিতা, অক্সিজেনের অভাবে রোগীমৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তির জন্য হাহাকার, রাস্তায় অনর্গল অ্যাম্বুল্যান্সের সাইরেন, সবে যখন করোনা পরিস্থিতি খানিকটা নিয়ন্ত্রণে আসছিল, তখনই নতুন করে উদ্বেগ। দেশে আবার বাড়তে শুরু করেছে কোভিডের সংক্রমণ। এই পরিস্থিতিতে এ রাজ্যের করোনা (West Bengal Corona) সংক্রমণও কপালে ভাঁজ ফেলেছে বিশেষজ্ঞদের।


সূত্রের খবর, রাজ্য সরকারের তৃতীয় সেন্টিনাল সার্ভেল্যান্সের রিপোর্ট বলছে, বাংলার ২৮টি স্বাস্থ্য জেলার মধ্যে ৫টিতে করোনার সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী। এই প্রেক্ষাপটে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলির সঙ্গে বৈঠক করেন স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম।


সূত্রের খবর, সম্প্রতি স্বাস্থ্য ভবনের কাছে অভিযোগ আসছিল, সরকারি হাসপাতালে (Government Hospital) চিকিত্‍সাধীন করোনা আক্রান্তদের তথ্য সঠিক সময়ে স্বাস্থ্য ভবনে আসছে না। এই প্রেক্ষাপটে বৈঠকে তিনটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 


স্বাস্থ্যভবনের বৈঠকের বিশেষ পদক্ষেপ


১) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন করোনা আক্রান্তদের তথ্য সঠিক সময়ের মধ্যে স্বাস্থ্যভবনকে জানাতে হবে। 


২) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন করোনা আক্রান্তরা কেমন আছেন, তা জানতে আলাদা একটি কমিটি গঠন করা হচ্ছে।


৩) বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে (Private Hospitals) নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভ্যাকসিনের প্রিকশনারি ডোজ মজুত রাখার জন্য। 


স্বাস্থ্যকর্তাদের অনুমান, অন্যান্য রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতি দেখে, এ রাজ্যে বুস্টার ডোজ (Booster Dose) নেওয়ার চাহিদা বাড়তে পারে। 


রাজ্য সরকারের তৃতীয় সেন্টিনাল সার্ভেল্যান্সের রিপোর্ট


রাজ্যের ৫ স্বাস্থ্য-জেলায় কোভিড (Covid) সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী। উত্তর ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, নন্দীগ্রাম, বসিরহাটে বাড়ছে সংক্রমণ। বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলায় সংক্রমণের হার সর্বাধিক। এখানে সংক্রমণের হার ১.১৬ শতাংশ। তারপর সংক্রমণের হার সবথেকে বেশি উত্তর ২৪ পরগনা স্বাস্থ্য জেলায়। চলতি বছরে স্বাস্থ্য দফতরের তৃতীয় সেন্টিনেল সার্ভেতে মিলেছে এই তথ্য।    


আরও পড়ুন- বুকে ব্যথা মানেই 'গ্যাস' নয়, লক্ষণগুলো এড়িয়ে গেলেই বিপদ