কলকাতা : চৈত্রের শেষবেলাতেও কালবৈশাখী হয়নি। বৈশাখের পয়লাও কেটেছে শুষ্কভাবেই। এবার বৈশাখের প্রথম সপ্তাহের জন্যও কোনও স্বস্তির খবর দিতে পারল না আবহাওয়া দফতর। আপাতত, উত্তর পশ্চিমের বাতাস বঙ্গের আবহাওয়ার হাল নির্ধারণ করবে। এই কয়েকদিন শুষ্কই থাকবে আবহাওয়া , চড়বে পারদ। আর এর মধ্যে বৈকালিক বৃষ্টির কোনও আশাও দিতে পারেনি হাওয়া -অফিস। 


বঙ্গে প্রধাণত  শুষ্ক  উত্তর পশ্চিম দিকের বাতাসের জেরে  ১৫ থেকে ১৯ এপ্রিলের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে তাপপ্রবাহের অবস্থা জারি থাকারই কথা। গরম এবং অস্বস্তিকর আবহাওয়া জনিত অস্বস্তি বাড়বে।  


তাপমাত্রা এবং আর্দ্রতার পূর্বাভাস: দিনের তাপমাত্রা (সর্বোচ্চ তাপমাত্রা) স্বাভাবিকের বেশি হবে বলেই অনুমান আবহাওয়া অফিসের। আগামী  ৪ - ৫ দিনের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে এক ধাক্কায় ২ থেকে ৪ ডিগ্রি তাপমাত্রা বেড়ে যাবে।  উপকূলীয় জেলাগুলিতে সর্বোচ্চ আর্দ্রতা ৮০- ৯০% থাকতে পারে। ভেতরের দিকের জেলাগুলিতে প্রায় ৭০ - ৮০% হতে পারে আর্দ্রতা । এর ফলে সারাদিনই ঘাম প্যাচপ্যাচ করবে। এর ফলে ,  আজ ও কাল, অর্থাৎ ১৫ এবং ১৬ এপ্রিল, দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে আর্দ্র এবং অস্বস্তিকর আবহাওয়াই থাকার কথা। 


দক্ষিণবঙ্গে তাপপ্রবাহের সতর্কতা:


আগামী ১৭ ও ১৮ তারিখ, রামনবমী ও তার পরের দিন, তাপপ্রবাহের হলুদ সতর্কতা : দক্ষিণবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান এবং পশ্চিম বর্ধমান জেলার এক বা দুটি জায়গায় তাপপ্রবাহের অবস্থা তৈরি হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতে আর্দ্র এবং অস্বস্তিকর আবহাওয়া থাকবে। 


১৯ তারিখও হলুদ সতর্কতা: দক্ষিণবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, দক্ষিণ 24 পরগনা, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, পূর্ব বর্ধমান এবং পশ্চিম বর্ধমান জেলার এক বা দুটি জায়গায় তাপপ্রবাহের অবস্থা থাকতে পারে। এদিন দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতে আর্দ্র এবং অস্বস্তিকর আবহাওয়া বিরাজ করার সম্ভাবনা রয়েছে।


সাধারণ মানুষকে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করার কথা বলছেন আবহবিদরা 


1. তাপ সাধারণ মানুষের জন্য সহনীয় কিন্তু শারীরিক ভাবে দুর্বল , শিশু, বয়স্ক বা যাঁরা দীর্ঘস্থায়ী রোগে আক্রান্ত তাঁদের জন্য খারাপ প্রভাব নিয়ে আসতে পারে।  দীর্ঘ সময়ের জন্য সূর্যের তেজ লাগলে তা থেকে হিট স্ট্রোক বা অন্য শারীরিক সমস্যা হতে পারে। 


2. এসময় হিট ক্র্যাম্প বা ব়্যাশ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এসব সমস্যা এড়াতে  সকাল ১১ টা থেকে বিকাল ৪ টার মধ্যে দীর্ঘক্ষণ রোদে না-থাকা শ্রেয়।  এসময় বাইরের কাজ এড়িয়ে চলুন।


2. হালকা ওজনের, হালকা রঙের, ঢিলেঢালা, সুতির কাপড় পরুন। মাথা ঢেকে রাখুন। কাপড়, টুপি বা ছাতা ব্যবহার করুন।


3. ডিহাইড্রেশন এড়াতে তৃষ্ণার্ত না হলেও পর্যাপ্ত জল খেতে থাকুন।


4. ওআরএস খান। ঘরে তৈরি পানীয় যেমন লস্যি, তোরানি , লেবুর জল, বাটারমিল্ক ইত্যাদি যা শরীরকে পুনরায় হাইড্রেট করতে সাহায্য করে, এমন কিছু পান করতে থাকুন। 


5. যদি হঠাৎ কেউ অজ্ঞান হয়ে যান বা অসুস্থ বোধ করেন, অবিলম্বে কোনও  ডাক্তারের কাছে যান বা হাসপাতালে দেখান। 


আরও পড়ুন : 


দুপুরে অসহ্য হবে গরম, কোন কোন জেলায় বেশি গরমের আশঙ্কা?


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।