সন্দীপ সরকার, দীপক ঘোষ ও কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা:  হাসপাতালে নিরাপত্তার অভাব নিয়ে এতদিন বিতর্ক চলছিল, আর জির কর কাণ্ড থেকে শিক্ষা নিয়ে এখন নিরাপত্তার অঙ্গ হিসাবে সিসিটিভি বসানো নিয়েও শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক। হাসপাতালে নিরাপত্তা বাড়াতে সিসি ক্যামেরা বসানোর বরাত দিয়েছে সরকার। আর সেখানেও ভয়ঙ্কর দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে।  


প্রশ্ন উঠেছে সিসিটিভি বসাতেও কি দুর্নীতি হয়েছে? কেন আসল দামের তুলনায় বহুগুণ বেশি দামে কেনা হয়েছে সিসিটিভি? তাই এক এক হাসপাতালে সিসি ক্যামেরার এক একরকম দাম?


বিরোধীদের অভিযোগ অনুযায়ী, কোথাও দেখা যাচ্ছে একটা সিসি ক্যামেরা কিনতে খরচ হয়েছে দেড় লক্ষ টাকা। কোথাও আবার সাড়ে তিন লক্ষ টাকা। অথচ সরকারি নথি বলছে অন্য সরকারি হাসপাতালে সেই সিসি ক্যামেরা বসাতেই খরচ পড়ছে মাত্র সাড়ে ১২ হাজার টাকা করে। সোমবার, ওয়েস্টবেঙ্গল ইলেকট্রনিক ইন্ডাস্ট্রি ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনকে লেখা স্বাস্থ্য দফতরের স্পেশাল কমিশনারের চিঠি সামনে এনে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী


সেখানে দেখা যাচ্ছে আরামবাগের প্রফুল্ল চন্দ্র সেন গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজে ৫০ টি সিসিটিভির জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে এক কোটি ৭৫ লক্ষ ৯৮ হাজার সাতশো উনচল্লিশ টাকা। অর্থাৎ সিসি ক্যামেরা প্রতি খরচ ৩ লক্ষ ৫১ হাজার ৯৭৪ টাকা।  আবার, ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজে প্রতিটি ক্যামেরা বাবদ খরচ হয়েছে ১ লক্ষ ৬৫ হাজার ৪০০ টাকা। কিন্তু আর জি কর-কাণ্ডের পর জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন চলাকালীন প্রতিটা মেডিক্যাল কলেজে সিসি ক্যামেরা বসানোর জন্য ৫ লক্ষ টাকা করে বরাদ্দ করেছিল রাজ্য সরকার। আর সেই টাকাতেই ৪০টি সিসি ক্যামেরা বসানো হচ্ছে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে। 


রাজ্য সরকারের দেওয়া ৫ লক্ষ টাকায় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজেও ৪০টি সিসি ক্যামেরা বসানো হচ্ছে, বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। অর্থাৎ এক্ষেত্রেও একটি সিসি ক্যামেরা বসাতে খরচ পড়ছে সেই সাড়ে ১২ হাজার টাকা। এখন প্রশ্ন উঠছে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ কিংবা ন্যাশনাল মেডিক্যালে একটি সিসি ক্যামেরার জন্য যদি সাড়ে ১২ হাজার টাকা খরচ হয়, তাহলে অন্য হাসপাতালে দেড় থেকে সাড়ে তিন লক্ষ টাকারও বেশি খরচ হয় কী করে? এই প্রশ্নই তুলছেন বিরোধীরা। 



আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে