বিটন চক্রবর্তী, পূর্ব মেদিনীপুর: উত্তর ভারতের খাপ পঞ্চায়েতের ছায়া এবার বাংলায়! মহিষাদলে বাড়িতে বাড়িতে খামে ভরা চিঠি দিয়ে ফতোয়া দেওয়াকে নিয়ে তুলকালাম। 


কী লেখা রয়েছে সেই ফরমানে? 



  • থানা নয়, কিছু হলে প্রথমে জানাতে হবে গ্রাম পরিচালন কমিটিকে, 

  • পারলৌকিক কাজকর্মের জন্যেও নিতে হবে গ্রাম কমিটির অনুমতি, 

  • গ্রামের কোনও মেয়ের বাইরে বিয়ে হলেও দিতে হবে চাঁদা, 

  • বিয়ের পর স্ত্রীকে গ্রামে নিয়ে এলেও গ্রাম কমিটিতে দিতে হবে চাঁদা, 

  • মহিষাদলের চক দ্বারিবেড়িয়া গ্রামে পরিচালন কমিটির ফতোয়া,

  • বাড়িতে বাড়িতে চিঠি, পোস্টার দিয়ে পরিচালন কমিটির ফতোয়া। 


আরও পড়ুন, রামপুহাটকাণ্ডে নিহতদের পরিবারের হাতে সরকারি চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দিল সরকার


এদিকে এই ঘটনার পর এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়াতেই গ্রাম পরিচালন কমিটির সদস্যদের থানায় ডাকল পুলিশ। এ ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত অভিযুক্তদের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। 


কোনও বিবাদ বা সমস্যা দেখা দিলে, পুলিশ নয়, জানাতে হবে গ্রাম পরিচালন কমিটিকে। মহিষাদলের খাপ পঞ্চায়েতের আদলে ফরমান জারি ঘিরে বিতর্ক। নাম জড়াল তৃণমূলের বুথ সভাপতিরও। যা নিয়ে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। যদিও ফরমান জারিকে সমর্থন করছে না তৃণমূল নেতৃত্ব। বর্তমান যুগে, সভ্য সমাজে কীভাবে এরকম ফতোয়া জারি হতে পারে, তাও পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। হঠাৎ করে গ্রাম কমিটির এই ফতোয়া জারি নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছেন চকদ্বারিবেড়িয়া গ্রামের বাসিন্দারা। তাদের বক্তব্য, গ্রাম্য কমিটির নামে দেওয়া এই ধরনের ফতোয়া আসলে তাদের মৌলিক অধিকারে হস্তক্ষেপ ছাড়া আর কিছুই নয়।


কী জানিয়েছেন জেলাশাসক? 


পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাঝি বলেন, "ব্যবস্থা নিয়েছে। এটা আমি বিডিওকে বলেছি। ওখানকার ওসিকেও বলেছি। যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এটা বেআইনি ব্যাপার। কারা রয়েছে এই ঘটনার নেপথ্যে, তা পুলিশ তদন্ত করে দেখবে।"