কলকাতা: গ্রামে গিয়ে কাজ করুন। গরিব মানুষদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করুন। গ্রামে না গেলে সংগঠ মজবুত করা সম্ভব নয়। সিপিএমের রাজ্য সম্মেলনের উদ্বোধনী ভাষণে বললেন প্রকাশ কারাত। বছর ঘুরলেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। ২৭-তম রাজ্য সম্মেলনের প্রথম দিনে জোরকদমে সেই প্রস্তুতিতে নেমে পড়ার ডাক দিলেন মহম্মদ সেলিম। সিপিএমের রাজ্য সম্মেলন নিয়ে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল ও বিজেপি। 


প্রস্তুতির ডাক সিপিএমের: বাংলা থেকে লোকসভায় শূন্য। রাজ্য বিধানসভায় শূন্য। জেলা পরিষদে শূন্য। পুরসভা বলতে টিমটিম করে জ্বলছে একমাত্র নদিয়ার তাহেরপুর। গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে পঞ্চায়েত সমিতির অবস্থাও তথৈবচ। এই অবস্থায় ২৭-তম রাজ্য সম্মেলন থেকে ছাব্বিশের বিধানসভার ভোটে লড়াইয়ের ডাক দিল সিপিএম। তবে সে লড়াইয়ে নামার আগে দলের সামনেই এখন একগুচ্ছ সমস্যা। পার্টির অন্দরের খবর, সম্পাদকীয় প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পার্টিতে সবাই নেতা হতে চাইছেন। জোনাল কমিটি, জেলা কমিটির নেতা হওয়ার জন্য একপ্রকার লড়াই চলছে। কিন্তু শাখাস্তরে কাজ করার মানসিকতা নেই।

ক্ষমতায় থাকাকালীন যে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় সিপিএমের সবচেয়ে বেশি আসন ছিল, সেখানেই এখন সাংগঠনিক পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপ। ভোট ৫ শতাংশেরও কম। দলের অন্দরের ব্যাখ্যা, ছাত্র ও যুব সংগঠনে মানুষ এলেও, তাদের ধরে রাখা যাচ্ছে না। আবার একটা বড় অংশের সমর্থনকে ভোটবাক্স পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারছে না দল। এর থেকে বেরিয়ে আসতে আন্দোলন-সংগ্রামই যে একমাত্র পথ, তা পরিষ্কার করে দিয়েছে রাজ্য় সিপিএম নেতৃত্ব। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, "পশ্চিমবঙ্গ এই সময়ে এই উদাহরণটা তৈরি করছে, বিধানসভার মধ্যে না থেকেও, পুরসভা বিরোধীশূন্য করার পরেও, কীভাবে আমরা লড়াই করছি মাঠে, ময়দানে, রাস্তায়। মানুষের জীবন জীবিকা বেকারি, দুর্নীতি- তার থেকে নির্বাচনটা জাতপাত, ধর্ম, বর্ণ, মন্দির, বিধানসভায় কে কতবড় হিন্দু তার প্রতিযোগিতা হচ্ছে। সেখান থেকে আন্দোলন সংগ্রামই একমাত্র পারে যেটা আর জি কর-কাণ্ডে দেখা গেছে ওই বিভাজনের থেকে মানুষকে সরিয়ে নিয়ে এসে তার অধিকারের জন্য লড়াই করতে।''

রাজ্য়ে যখন ধর্মীয় মেরুকরণের রাজনীতি ক্রমেই প্রকট আকার নিচ্ছে, তখন কোনপথে বিজেপি-তৃণমূলের মোকাবিলা করবে, ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলে আসা সিপিএম? DYFI-এর রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় বলেন, "সরকার গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ভোট পরিচালনার সাহস দেখালে আজও বামপন্থীরা পার্লামেন্ট, বিধানসভার ভিতরে, পুরসভা, পঞ্চায়েতের ভিতরে থাকবে। পার্টির প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা আছে। সাধারণ মানুষের প্রতি পার্টির আস্থা আছে। একসঙ্গে লড়বে।''


আরও পড়ুন: Tangra News Update: ট্যাংরাকাণ্ডে বড় ভাইকে NRS-এ স্থানান্তর, কী হবে তাঁর সন্তানের পরিণতি?