সৌমিত্র রায়, কলকাতা : বড়দিনের (Christmas) আনন্দ চেটেপুটে নিল বঙ্গবাসী ৷ কলকাতা থেকে জেলা, ভিড়ে মিশল উৎসবের রং। কেকের সুবাস, রঙিন আলোর সাজে সেজে ওঠে পার্ক স্ট্রিট । রাত বাড়তে বাড়ে ভিড়ও। বড়দিনের সকাল থেকেই কলকাতাজুড়ে উপচে পড়েছিল ভিড়। রাত বাড়তেই সব ভিড় যেন মোড় নেয় পার্ক স্ট্রিটে।
ভিড়ের চাপে বন্ধ অ্যালান পার্ক
উৎসবের আবহ মনে করিয়ে দিচ্ছিল পুজোর অষ্ঠমীর কলকাতার কোনও নামী পুজোর প্যান্ডেলের কথা। একসময় ভিড়ের চাপ এতটাই বেড়ে যায় যে পুলিশকে বাধ্য হয়ে বন্ধ করে দিতে হয় অ্যালান পার্কের গেট। পার্ক স্ট্রিটে বড়দিনের অন্যতম আকর্ষণীয় স্থল অ্যালান পার্ক বন্ধ থাকায় উৎসাহীরা বাইরে দাঁড়িয়েই ছবি, সেলফি তুলে দুধের স্বাদ ঘোলে মেটান।
পার্ক স্ট্রিট থেকে ওয়াকিং স্ট্রিট
দীর্ঘক্ষণ ধরে লোকের ভিড়ে জেরে পার্ক স্ট্রিটকে করে দেওয়া হয়েছিল ওয়াকিং স্ট্রিট। রাত বাড়তে ভিড় কিছুটা কমার পর অবশ্য চালু হয় গাড়ি চলাচল। ছিল কড়া পুলিশি প্রহরা। লালবাজার সূত্রে খবর, মোট ১১ টি সেক্টরে ভাগ করে পুলিশি নজরদারি চলে পার্ক স্ট্রিটে। ১৩ টি হেভি রেডিও ফ্লাইং স্কোয়াড।, ২০টি নজরদারি বাইক। মোট ৩ হাজার পুলিশ ছিলেন নিরাপত্তায়। ড্রোন নজরদারি শুরু হয়ে গিয়েছিল সকাল থেকেই। বড়দিনের সকালে থেকেই শুরু হয় প্রার্থনা-পর্ব।
উৎসবের অজুহাতে হেলমেট না পরেই রাস্তায় বেরিয়ে পড়া। বাইক বাহিনীর দাপাদাপি, মদ্যপান করে গাড়ি চালানো, বড়দিনের রাতে এসব রুখতে কড়া হাতে মোকাবিলার প্রস্তুতি নিয়েছে পুলিশ। পার্ক স্ট্রিটে যখন দিকে দিকে পুলিশ-প্রশাসনের প্রস্তুতি, তখন করোনা সচেতনতার ছবি ধরা পড়েছে উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ার গুমা সেন্ট মার্ক চার্চে। চিনে করোনা বিস্ফোরণের কথা মাথায় রেখে, জেলার এই গির্জায় ক্রিসমাস ক্যারোলে মাস্ক ও স্যানিটাইজার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- বড়দিনের কেক বিলি করে পঞ্চায়েত ভোটের প্রচার শুরু তৃণমূল প্রধানের