ক্যালেন্ডারের পাতায় অফিসিয়ালি গ্রীষ্মের আগমন ঘটেনি। কিন্তু এবার শীত শেষেই স্বাভাবিকের থেকে বেশি গরমের পূর্বাভাস করে রেখেছিল আবহাওয়া দফতর। আইএমডির আধিকারিকদের কেউ কেউ সংবাদমাধ্যমকে জানান, এবছর ভারতে রেকর্ড গরম পড়তে পারে মার্চে, অর্থাৎ অন্যান্য বছরের থেকে বেশি গরম পড়তে পারে এবার মার্চে।  মার্চ মাসের বেশিরভাগ সময় তাপমাত্রা গড়ের চেয়ে বেশি থাকার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। আবহবিদরা বলছেন ভারতের বেশিরভাগ রাজ্যেই ব্যতিক্রমী গরম পড়তে পারে এই মাসেই।  এর ফলে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারেন গম চাষিরা।   

আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস,  দোল  উৎসবের আগেই কলকাতায় ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁতে পারে পারদ। জেলায় জেলায় তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি পেরিয়ে যেতে পারে।  উত্তরবঙ্গে আবার তৈরি হচ্ছে বৃষ্টির সম্ভাবনা। দার্জিলিং জেলা সহ চার জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে । রবিবার বৃষ্টির সম্ভাবনা কম। দক্ষিণবঙ্গে আপাতত বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। মূলত শুষ্ক আবহাওয়াই।  তাপমাত্রা বেশ কিছুটা বেড়েছে, বাড়বেও । জেলায় জেলায় ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছুঁতে পারে ১০ই মার্চের পর । নতুন করে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা আসবে ৯ই মার্চ রবিবার।

 কলকাতার আবহাওয়া মহানগরে ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ঘোরা ফেরা করবে শনিবারের তাপমাত্রা।  দিন ও রাতের তাপমাত্রা এখনো স্বাভাবিকের নীচে। তবে আরামের দিন শেষ হতে চলেছে শিগগিরিই। শনিবার সকালেও মনোরম আবহাওয়া থাকার কথা কিছুক্ষণের জন্য। রবি থেকে এই মনোরম পরিবেশ অনেকটাই ফিকে হয়ে যাবে। দিনের বেলায় উষ্ণতা বাড়বে, রাতেও গরমের অস্বস্তি থাকবে । শনিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২১ ডিগ্রি, দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩০.৬ ডিগ্রি। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বা আপেক্ষিক আর্দ্রতা ২৮ থেকে ৯০ শতাংশ। 

তাপপ্রবাহবোঝাই যাচ্ছে, এবছর ভালরকমই ভোগাবে গরম। দেশে সাধারণত তাপপ্রবাহ  মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত স্থায়ী হয় ।  মাঝে মাঝে জুলাই পর্যন্তও স্থায়ী হতে পারে। যখন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে ৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার বেশি হয়, তখন তাকে তাপপ্রবাহের আওতায় ফেলা হয়ে থাকে।  আইএমডির পূর্বাভাস,  আগামী কয়েক দিন গরম এবং আর্দ্র আবহাওয়া অব্যাহত থাকবে। আবহবিদরা বলছেন, বৃষ্টিপাতের অভাবের জন্য এবার শীতের শেষেও  গরমের ভাব স্পষ্ট হয়েছে।     

আরও পড়ুন : 'হুইলচেয়ার দেয়নি এয়ার ইন্ডিয়া', ব্রেন স্ট্রোক হয়ে মুখ থুবড়ে পড়লেন অশীতিপর বৃদ্ধা, অবস্থা সঙ্কটজনক