কলকাতা: শিক্ষায় নিয়োগ, পুরসভায় নিয়োগ, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা, একশো দিনের কাজের পর এবার মিড ডে মিলেও উঠল দুর্নীতির অভিযোগ। মিড ডে মিল নিয়ে বড়সড় গরমিলের অভিযোগ উঠল বাংলায়! 


কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রকে জয়েন্ট রিভিউ মিশনের রিপোর্টে বলা হল, ২০২২-এর ৬ মাসে ১৬ কোটি অতিরিক্ত মিড ডে মিল দেখিয়ে তুলে নেওয়া হয়েছে ১০০ কোটি টাকার বেশি। ১৬ কোটি অতিরিক্ত মিড ডে মিল দেখানো ছাড়াও একাধিক বিস্ফোরক অভিযোগ তোলা হয়েছে শিক্ষামন্ত্রকে জমা পড়া রিপোর্টে। 


কী বলছে পরিসংখ্যান? 


জয়েন্ট রিভিউ মিশনের রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে দাবি, গড়ে ৯৫ শতাংশ পড়ুয়াই মিড ডে মিলের খাবার খায়।কিন্তু পরিদর্শন করা রাজ্যের প্রায় সব স্কুলেই দেখা গেছে, মিড ডে মিল খাওয়ার পড়ুয়াদের হার ৬০ থেকে ৮৫ শতাংশ! রিপোর্টে আরও চাঞ্চল্যকর দাবি, যত স্কুলে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা সরেজমিনে ঘুরে দেখেছেন, তার ৭০ শতাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে প্রয়োজনের তুলনায় কম ভাত রান্না করা হয়েছে। ৬০ শতাংশ স্কুলে চাহিদার তুলনায় কম রান্না হয়েছে ডাল। ৪৭ শতাংশ স্কুলে প্রয়োজনের তুলনায় কম তেলে রান্না হয়েছে। শাক-সবজি কম রান্না রয়েছে ২৭ শতাংশ স্কুলে। 


বিরোধীদের প্রশ্ন


স্কুলে কতজন শিশু পড়ে, তা কেউ জানেন না। ২০-৩০ জন বাচ্চা আছে, বলা আছে ৫০ জন আছে। সব জায়গায় দুর্নীতি। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী বলছেন, তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয়নি। যাঁরা চুরি করছে, তাঁকে জিজ্ঞাসা করবে কেন? প্রশ্ন দিলীপ ঘোষের।


অন্যদিকে, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ট্যুইট করে বলেছেন,  আমি আগেই বলেছিলাম, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাত্রদের খাবারের প্লেট থেকেও চুরি করতে দ্বিধাবোধ করেন না। একবার ভাবুন, যদি তারা (তৃণমূল সরকার) একটা আর্থিক বছরের দুটি কোয়ার্টারেই (এপ্রিল-সেপ্টেম্বর, ২০২২) ১০০ কোটি টাকা চুরি করতে পারে, তাহলে গত ১২ বছরে কত টাকা সরিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার শাসনের নামে দিনদুপুরে ডাকাতি করেছে।                      


সরকারের 'সাফাই'


এদিকে রাজ্য সরকারের বক্তব্য ওই রিপোর্টে যথাযথভাবে স্থান পায়নি. অভিযোগ রাজ্যের। শিক্ষামন্ত্রী প্রশ্ন তুলেছেন, এই 'লুকোচুরি' খেলাটার কী উদ্দেশ্য, যদি না এর মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের অন্য কোনও অভিসন্ধি থাকে?  


আরও পড়ুন, খরচ হয়েছে সাড়ে চারশো কোটি, আজ ধনধান্য অডিটোরিয়ামের উদ্বোধন