কলকাতা: রাজ্যে যে হারে করোনা বাড়ছে, সেই আবহে পুরভোট (Municipal Election) পিছনো যায় কি না তা জানতে চেয়ে শুক্রবারই রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে (State Election Commission) জানিয়েছিল হাইকোর্ট (Highcourt)। সূত্রের খবর, রাজ্য সায় দেওয়ার পরই কমিশনের তরফে জানান হয়েছে যে করোনার কারণে ৩ সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে ৪ পুরনিগমের ভোট। ২২ জানুয়ারির বদলে ১২ ফেব্রুয়ারি পুরভোট হবে। ১৫ ফেব্রুয়ারি হবে ভোটের ফলপ্রকাশ।
শুক্রবার, কলকাতা হাইকোর্টের তরফে বলা হয়, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সিদ্ধান্ত ঘোষণা করতে হবে কমিশনকে। লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ, সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে মাথায় রাখতে হবে। এই সময়ে ভোট হলে তা কি মানুষের স্বার্থে হবে? সেই ভোট কি অবাধ ও সুষ্ঠু হবে? সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে দুটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। ভোট পিছনোর ক্ষমতা আছে নির্বাচন কমিশনের’। তৃণমূলের কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা সৌগত রায় বলেন, "আজ হাইকোর্টে সরকারের তরফে বলা হয়েছে যে ভোট পিছিয়ে দেওয়া হলে কোনও অসুবিধা নেই। এরপর রাজ্য নির্বাচন কমিশনও জানায় যে তিন সপ্তাহ পিছিয়ে যাচ্ছে। করোনা মুক্ত পরিবেশে ভোট হোক। স্বাগত জানাচ্ছি।"
সম্প্রতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন কোভিডের সংক্রমণ কমাতে, ২ মাস সব কিছু স্থগিত করা উচিত। তিনি বলেছিলেন, "প্রথমে বড়দিন পালন, তারপর নতুন বছর পালন। দুর্গাপুজো কোথাও কালীপুজো , কোথাও এই অনুষ্ঠান, কোথাও সেই অনুষ্ঠান... এটা আমার ব্যক্তিগত অভিমত, আমি আপনাদের আবার বলছি, এগুলো বন্ধ রেখে আমাদের, এখন রাজ্য সমাজকে বাঁচানোর লক্ষ্যে নিজেদেরকে আত্মনিয়োজিত করতে হবে। মানুষের প্রাণ বাঁচলে আগামী দিনে সব আস্তে আস্তে হবে।"
এমনিতেই কলকাতায় লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। এই পরিস্থিতিতে কলকাতা পুরসভা এলাকায় কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যা ২৯ থেকে বাড়িয়ে ৪৪ করা হয়েছে। এর মধ্যে শুধুমাত্র লেক থানা এলাকাতেই নতুন করে ৬টি কনটেনমেন্ট জোন তৈরি হয়েছে। এদিন পুলিশ সেখানে গিয়ে বিভিন্ন সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়। যদিও ফিরহাদ হাকিম বলেন, পুলিশ দিয়ে নয়। মানুষকে বুঝিয়েই করোনা বিধি পালনে অনুরোধ করা হবে।