West Bengal News Live: ভোগ রান্না থেকে অতিথি আপ্যায়ণ নিজের হাতেই, বাড়ির কালীপুজোয় ব্যস্ত মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়
Bengali News Live Updates: বাংলার প্রতি মুহূর্তের সব খবরের আপডেট জেনে নিন এক ক্লিকে।
সন্দেশখালির তৃণমূল বিধায়ক সুকুমার মাহাতোর গাড়ির উপর হামলার অভিযোগ। পুজো উদ্বোধন সেরে ফেরার পথে ন্যাজাটের শিমুলআটিতে বিধায়কের গাড়িতে হামলার অভিযোগ। বিধায়কের অনুগামী বেশ কয়েকজনকে মারধরেরও অভিযোগ। শেখ শাহজাহান অনুগামী কাদের মোল্লার লোকজন হামলা চালিয়েছে, অভিযোগ বিধায়ক সুকুমার মাহাতো। হাটগাছি পঞ্চায়েতের তৃণমূলের উপ প্রধান কাদের মোল্লা। বিধায়কের অনুগামীরা চাকরির নামে টাকা তুলছে, তা নিয়ে মানুষের ক্ষোভের জেরে এই ঘটনা, দাবি কাদের মোল্লার।
দীপাবলি মানে আলোর উৎসব। এই উৎসবে যাবতীয় অন্ধকার ঘুচে যায়, আলোর রোশনাইয়ে ভেসে যায় চারদিক। কিন্তু এই আলোর ছটার মধ্য়েও অসংখ্য় শিশু আছে, দারিদ্রতার অন্ধকারে যাদের জীবন নিমজ্জিত। তবে আলোর উৎসব থেকে তারা যাতে বঞ্চিত না হয়, তার জন্য় প্রতি বছর বিশেষ আয়োজন করে ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলা। এবারও প্রায় হাজার খানেক শিশুর হাতে পোশাক তুলে দেওয়া থেকে শুরু করে তাদের জন্য় খাওয়া-দাওয়ার ব্য়বস্থা করা হয় জেলা পুলিশের তরফে। উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিঠুন দে। শিশুদের পাশাপাশি তাদের পরিবারের মুখেও যাতে এই দিনে হাসি ফোটে তারও উদ্য়োগ নেয় পুলিশ বাহিনী।
বাড়ির কালীপুজোয় ব্যস্ত মুখ্যমন্ত্রী। পুজোর তদারকি, ভোগ রান্না থেকে অতিথি আপ্যায়ণ, নিজেই দেখছেন সবদিক।
কার্তিক মাসের অমাবস্যা তিথির গভীর রাতে যোগিনী পরিবৃতা হয়ে আবির্ভূতা হন মা কালী। জগতে কল্যাণ এবং শান্তি স্থাপনের জন্য ভক্তরা দেবীর আরাধনা করেন। তিনি অসুখ বিনাশিনী। মহা শক্তিধর শুম্ভ-নিশুম্ভের হাত থেকে ত্রিলোককে রক্ষা করতেই দেবীর সৃষ্টি। নরমুণ্ডই দেবীর অলঙ্কার। যুদ্ধে পরাজিত সেনাপতিদের মুণ্ডের মালা মা কালীর কণ্ঠের শোভা। বলা হয়, পঞ্চাশটি মুণ্ডের এই মালা আসলে জ্ঞানের প্রতীক। যে সেনাপতি তাঁর চুল ধরে অপমান করেছিল, তাঁর মুণ্ড দেবী হাতে ধরে থাকেন। মৃত সেনাপতিদের হাতের পাতা দেবী কোমরে ধারণ করেন। শাস্ত্রমতে এই করতলও জ্ঞানের প্রতীক। ভুল করে স্বামী মহাদেবের গায়ে পা তুলে ফেলায় লজ্জিতা রণে উন্মত্ত দেবী।
দীপান্বিতা অমাবস্যায় আলো ঝলমলে রাজ্য। কালীঘাটে বিশেষ পুজো, দক্ষিণেশ্বর-তারাপীঠে সন্ধ্যারতি। জমজমাট আরতি লেক কালীবাড়িতেও।
নিমগাছ এখানে কালী মা। বেদীতে কোন দেবীর প্রতিমা থাকে না, কালী মন্ত্রে দেবী জ্ঞানে গাছকে পুজো করা হয়। দেবী এখানে 'ঝুপোমা' হিসেবে পরিচিত।কারণ দেবী একসময় ঝোপে বাস করতেন। পুজোকে ঘিরে হাজার হাজার ভক্তের সমাগম হয়। কাটোয়ার পুরসভার পাবনা কলোনিতে ঝুপোমায়ের মন্দির।
চারদিকে থিমের টক্করের মধ্যেই নজর কেড়েছে আমহার্স্ট স্ট্রিটের ঝামাপুকুর সর্বজনীনের সাবেকি মণ্ডপ। সামঞ্জস্য রেখে প্রতিমাও সাবেকি। বাইরে গ্রাফিতি এঁকে এলাকাকে সাজিয়েছেন কচিকাঁচারা। আর সেই সঙ্গে তারা জিতে নিল এবিপি আনন্দ আলোক আনন্দ সম্মান।
ফের কুলতলি। মূক ও বধির মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ। গ্রেফতার প্রতিবেশী। পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে উদ্ধার নির্যাতিতা। টাকা দিয়ে মুখ বন্ধের চেষ্টার অভিযোগ পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামীর বিরুদ্ধে। ফের কুলতলিতে 'ধর্ষণ'!
প্রেক্ষাপট
রাজ্যজুড়ে শক্তির আরাধনা। কলকাতা থেকে কামাখ্যা। বীরভূম থেকে বারাসাত। কালীপুজো উপলক্ষ্যে দিকে দিকে সাড়ম্বর আয়োজন। কার্তিক মাসের অমাবস্যা তিথির গভীর রাতে যোগিনী পরিবৃতা হয়ে আবির্ভূতা হন মা কালী। জগতে কল্যাণ এবং শান্তি স্থাপনের জন্য ভক্তরা দেবীর আরাধনা করেন। তিনি অসুখ বিনাশিনী। মহা শক্তিধর শুম্ভ-নিশুম্ভের হাত থেকে ত্রিলোককে রক্ষা করতেই দেবীর সৃষ্টি। নরমুণ্ডই দেবীর অলঙ্কার। যুদ্ধে পরাজিত সেনাপতিদের মুণ্ডের মালা মা কালীর কণ্ঠের শোভা। বলা হয়, পঞ্চাশটি মুণ্ডের এই মালা আসলে জ্ঞানের প্রতীক। যে সেনাপতি তাঁর চুল ধরে অপমান করেছিল, তাঁর মুণ্ড দেবী হাতে ধরে থাকেন। মৃত সেনাপতিদের হাতের পাতা দেবী কোমরে ধারণ করেন। শাস্ত্রমতে এই করতলও জ্ঞানের প্রতীক। ভুল করে স্বামী মহাদেবের গায়ে পা তুলে ফেলায় লজ্জিতা রণে উন্মত্ত দেবী।
অসমের গুয়াহাটির কামাখ্যা মন্দিরে প্রতিবারের মতো এবারও মায়ের সাড়ম্বর আরাধনা। নীলাচল পাহাড়ের কোলে ব্রহ্মপুত্রের তীরে এই মন্দিরকে ঘিরে রয়েছে নানা কাহিনী। শ্রেষ্ঠ সতীপীঠ হিসেবে পরিচিত কামাখ্যা। একান্ন পীঠের অন্যতম কামাখ্যায় মায়ের যোনি পড়েছিল বলে কথিত। সারা দেশ থেকে ভক্তরা এই মন্দিরে আসেন। এদিন দেবী মাকে মহাস্নান করিয়ে, ষোড়শপচারে ভোগ নিবেদন করা হয়। এরপর মহা বলিদান। মাছ ভোগ ও বলিদানের মহপ্রসাদ ভোগও নিবেদন করা হয় মাকে। সকালে দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হয় মন্দিরের দরজা। এখানে শুধু দর্শন নয়, মাকে স্পর্শ করে পুণ্যলাভ করতে আসেন ভক্তরা। কথিত আছে, এখানে না এলে তন্ত্রসাধনা সম্পূর্ণ হয় না।
কলিযুগের স্বর্গ বলা হয় মা কামাখ্যার মন্দিরকে। মায়ের মূল মন্দির তৈরি করেছিলেন কোচবিহারের মহারাজা নরনারায়ণ। বাকি অংশের নির্মাণ করেন অহম রাজারা। কামাখ্যা মন্দিরে এদিন রাত পর্যন্ত মহাযজ্ঞ চলে। মন্দিরের মধ্যে ১০টি নামী আখড়ায় প্রথা মেনে যজ্ঞের আয়োজন করা হয়। কথিত আছে, বশিষ্ঠ মুনি এক সময় কামাখ্যায় যজ্ঞ করেছিলেন।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -