কলকাতা: আজ রাজ্যে প্রাথমিকের টেট (Primary TET)। যা নিয়ে এবার বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। টেটের প্রশ্ন বিক্রি হয়েছে বলে অভিযোগ তাঁর। পাশাপাশি কারও চাকরি হবে না বলেও বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
বিস্ফোরক মন্তব্য বিরোধী দলনেতার: রাজ্যে শিক্ষা নিয়োগ দুর্নীতি-তদন্ত চলাকালীনই আজ প্রাথমিকের টেট। রাজ্যের ৭৭৩টি কেন্দ্রে পরীক্ষার আয়োজন করা হয়েছে। এর মধ্যে কলকাতায় ৫টি পরীক্ষা কেন্দ্র রয়েছে। এবারের টেটে বসেছেন প্রায় ৩ লক্ষ ৯ হাজার ৫৪ জন চাকরিপ্রার্থী। আর এই টেট নিয়েই এবার বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন, "টেটের প্রশ্ন ফোন করে করে বিক্রি হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাদের আত্মীয়দের মোবাইল নিয়ে ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ টাকা নিয়ে করেছে। এটাতে কেউ চাকরি পাবে না। পরীক্ষার্থী পিছু এক হাজার টাকা নষ্ট করল। ৫০০ টাকা আগে নিয়েছে। আজকে যাতায়াত, টিফিন, জলের বোতলে আরও ৫০০ গেল। ২০১৭ সালের টেটের নিয়োগ হয়নি। ২০২২ সালের টেটেরও নিয়োগ হয়নি। এবার লোকসভা নির্বাচনের আগে টাকা তোলা আর চাকরি দেওয়ার নামে ললিপপ ধরানোর জন্য পশ্চিমবঙ্গের বেকার যুবক যুবতীদের ন্যূনতম এক হাজার টাকা নষ্ট করল সরকার।''
কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা: শিক্ষা-দুর্নীতি নিয়ে তোলপাড়ের মধ্যেই আজ প্রাথমিকের টেট। স্বচ্ছতা বজায় রাখতে সল্টলেকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। বিভিন্ন জেলার নামে তৈরি করা হয়েছে ডেস্ক। প্রতিটি ডেস্ক থেকে সিসি ক্যামেরায় চলছে পরীক্ষা কেন্দ্রে নজরদারি। পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢোকার আগে পরীক্ষার্থী, পরীক্ষা-পরিদর্শক থেকে শুরু করে সেন্টার ইনচার্জ, সবাইকেই মোবাইল ফোন জমা রেখে পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢুকতে হচ্ছে। পরীক্ষার্থীর পরিচয় যাচাইয়ে আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স অর্থাৎ AI প্রযুক্তির সাহায্য নিচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। পরীক্ষা কেন্দ্রে জলের বোতল, ঘড়ি নিয়েও ঢোকাও নিষেধ। OMR শিট নিরাপদে রাখার জন্য কড়া পুলিশি পাহারার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে, তিনটি ভাগে চলছে নজরদারি। প্রতিটি পরীক্ষা কেন্দ্রের এন্ট্রি গেটে লাগানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা।যার কন্ট্রোল রয়েছে পর্ষদ অফিসে। একে বলা হচ্ছে কমান্ড কন্ট্রোল রুম। নজরদারির দ্বিতীয় ভাগ ফ্রিস্কিং। এই পর্যায়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢোকার আগে হ্যান্ড মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে চেকিং হচ্ছে। ভুয়ো পরীক্ষার্থী ধরতে এবার আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স অর্থাৎ AI প্রযুক্তির সাহায্য নিচ্ছে পর্ষদ। নজরদারির তৃতীয় পর্যায়ের নাম বায়ো। এক্ষেত্রে অ্যাডমিট কার্ড, আইডি প্রুফ খতিয়ে দেখার পাশাপাশি, বায়োমেট্রিক তথ্য ও ফেসিয়াল রিকগনিশন মিলিয়ে দেখা হচ্ছে। ঢোকা-বেরোনোর জন্য পরীক্ষা কেন্দ্রগুলিতে একটি করে গেট খোলা রাখতে বলেছে পর্ষদ।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: North 24 Parganas: রেলগেট ভেঙে বিপত্তি, ফের বিপর্যস্ত পরিষেবা, ক্ষুব্ধ যাত্রীরা