ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বীরভূম: সব মতানৈক্য কাটিয়ে রবিবার থেকে শান্তিনিকেতনে (Shantinektan) শুরু হল পৌষমেলা (Poush Mela)। সব মতানৈক্য কাটিয়ে মেলা শুরু হতেই সর্বত্র খুশির হাওয়া। দেশ বিদেশ থেকে হাজারা হাজার মানুষ ভিড় জমিয়েছে শান্তিনিকেতনে। মেলা চলবে পাঁচ দিন। কড়া নিরাপত্তার পাশাপাশি দূষণ মুক্ত মেলা করতে বদ্ধ পরিকর জেলা প্রশাসন।



পৌষমেলার সঙ্গে পৌষ উৎসব শুরু হয় ৭ই পৌষ ভোরে গৌরপ্রাঙ্গনে বৈতালিকের মধ্যে দিয়ে। সকাল ৬টায় শান্তিনিকেতন গৃহে সানাই, ছাতিমতলায় ৭টায় উপাসনা। বাউল গানের মধ্যে দিয়ে পৌষ মেলার আনুষ্ঠানিক সূচনা হবে মেলা প্রাঙ্গনে সকাল ১১টা নাগাদ।আম্রকুঞ্জে আশ্রমিক সংঘের অনুষ্ঠান দুপুর ৩টে নাগাদ, ৩.৩০ টে নাগাদ আলাপিনী মহিলা সমিতির অনুষ্ঠান। সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ ছাতিমতলা এবং উদয়নে আলোকসজ্জা। রাত্রী ১০তায় মেলাপ্রাঙ্গনে যাত্রাভিনয়।


এদিন পৌষমেলার উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।  পৌষ মেলা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত মানুষ ভালভাবে নেয়নি। শান্তিনিকেতনে রাজ্য সরকার পরিচালিত পৌষ মেলার ভার্চুয়াল উদ্বোধনে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। 


এই মেলা চলবে ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত। পাঁচদিনের এই মেলা পূর্বপল্লী মাঠে হওয়ার পেছনে মূলত মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগ রয়েছে। কারণ তিনি বিশ্বভারতী পৌষমেলা করবে না জানার পরেই জেলা প্রশাসনকে পৌষমেলা করার নির্দেশ দেন এবং তা পূর্বপল্লীর মাঠে হলে আরও ভাল হবে এমন ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। রাজ্য সরকার পরিচালিত বিকল্প পৌষ মেলার ভার্চুয়াল উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে দেন কড়া বার্তা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এই জায়গা কেউ কলুষিত করুক চাই না। কোনও স্বৈরাচারী মনোভাব নিয়ে বিশ্বভারতী চালালে হবে না। আশ্রমিক থেকে পড়ুয়া সকলকেই সম্মান দিতে হবে। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের পৌষ মেলা বন্ধের সিদ্ধান্ত মানুষ ভাল ভাবে নেয়নি বলেও মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী।                                                           


আরও পড়ুন, রাজ্যপালের অপসারণ-নির্দেশ অগ্রাহ্য, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে হাজির বুদ্ধদেব সাউ


পৌষকালে এবার হস্তশিল্পীদের জন্য থাকছে বিশেষ প্যাভিলিয়ন। মেলার সুরক্ষার বিষয়টিও জোরদার করা হয়েছে। ১৬০০-এর বেশি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। বিশেষ করে মেলার মধ্যে থাকছে ওয়াচ টাওয়ার। লাগানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা। এর পাশাপাশি পৌষমেলার রুট ম্যাপ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়েছে। যা শহরের বিভিন্ন জায়গায় লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে, যাতে দূরদূরান্ত থেকে যাঁরা আসবেন তাঁদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়। ওই ম্যাপ দেখে তাঁরা পৌঁছে যাবেন মেলার মাঠে এবং মেলায় কোথায় কী রয়েছে সেটাও এই ম্যাপের মধ্যে রয়েছে।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে