কলকাতা: জঙ্গি-যোগের অভিযোগ, দ্বিতীয় হুগলি সেতু (Second Hooghly Bridge) থেকে ধাওয়া করে গ্রেফতার। জেহাদি কার্যকলাপের অভিযোগে টিকিয়াপাড়ায় (Tikiapara) ২ সন্দেহভাজন জঙ্গিকে (Terrorist) গ্রেফতার করা হয়েছে। দ্বিতীয় হুগলি সেতু থেকে ধাওয়া করে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশের এসটিএফ। এসটিএফ সূত্রে দাবি, 'আগ্নেয়াস্ত্র জোগাড়ের ছক ছিল ধৃত ২ সন্দেহভাজন জঙ্গির। খিদিরপুরে (Khidirpur) গোপন বৈঠকের ছক ছিল ধৃতদের। ধৃত মহম্মদ সাদ্দাম আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (Aliah University) এমটেকের ছাত্র। জেহাদি কার্যকলাপে যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার সায়াদ আহমেদ। ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত ধৃত ২ জনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।


ধৃতদের একজন এম টেকের ছাত্র:  প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে, দুই সন্দেহভাজন ISIS জঙ্গিকে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশের STF। পুলিশের দাবি, ধৃতদের থেকে আগ্নেয়াস্ত্র, অনেকগুলি ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন, হার্ড ডিস্ক উদ্ধার হয়েছে। ধৃতদের মধ্য়ে একজন এম টেকের ছাত্র! 


এ যেন কোনও চিত্র-নাট্য: দ্বিতীয় হুগলি সেতুর উপর দিয়ে, হু হু করে বাইক ছোটাচ্ছেন দুই যুবক! আর, তাঁদের পিছনে তাড়া করছেন কলকাতা পুলিশের STF-এর গোয়েন্দারা। কোনও সিনেমার চিত্র-নাট্য় নয়! প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে শুক্রবার, কার্যত এভাবেই তাড়া করে, দ্বিতীয় হুগলি সেতু থেকে দুই সন্দেহভাজন ISIS জঙ্গিকে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশের STF। যার মধ্য়ে একজন আবার এম টেকের ছাত্র!


ধৃতদের নাম মহম্মদ সাদ্দাম ওরফে সাদ্দাম মল্লিক এবং সইদ আহমেদ। হাওড়ার টিকিয়াপাড়ায় ফ্ল্যাট রয়েছে সাদ্দামের। তিনি আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এম টেকের ছাত্র। পরিবারের, দাবি সাদ্দাম এয়ারফোর্স, রেল এবং এমবিএ-র প্রবেশিকা পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন।


সইদ আহমেদের বাড়ি হাওড়ার শিবপুরে। পুলিশের দাবি, ধৃতদের থেকে আগ্নেয়াস্ত্র, অনেকগুলি ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন, হার্ড ডিস্ক উদ্ধার হয়েছে। ধৃতদের বিরুদ্ধে, দেশ বিরোধী কাজ, দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র এবং অস্ত্র সংগ্রহের ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ।


দেশ বিরোধী কাজের সঙ্গে যোগ: STF-এর দাবি ধৃতরা, দেশ বিরোধী কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তাঁদের পরিকল্পনা ছিল, সরকারি প্রতিষ্ঠানে হামলা করার। ISIS-এর জন্য অর্থ সংগ্রহের পাশাপাশি, নতুন সদস্য জোগাড়, অস্ত্র ও বিস্ফোরক জোগাড়ও করছিলেন অভিযুক্তরা।


ধৃতদের কাছ থেকে, বেশ কিছু বৈদ্যুতিন সামগ্রী ও নথি পাওয়া গেছে।  STF-সূত্রে দাবি, ধৃতদের খিদিরপুর এলাকায় গোপন বৈঠক করার কথা ছিল। তার আগেই তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। কী কারণে ধৃতরা অস্ত্র সংগ্রহের চেষ্টা করছিল, তাদের সঙ্গে আর কারা যুক্ত রয়েছে, তা খতিয়ে দেখছে STF। 


জেএমবি, আল কায়দা, IS জঙ্গি সন্দেহে আগেও অনেকে গ্রেফতার হয়েছে এই রাজ্যে। এবার, সেরকমই সন্দেহভাজনের হদিশ মিলল হাওড়ার টিকিয়াপাড়ায়। ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত, ধৃতদের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।