মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর  : রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে সামনে আসছে ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের অভিযোগ (Post Poll Violence Allegation)। এবার এই অভিযোগ উঠল দুর্গাপুর নিউ টাউনশিপ থানা এলাকায়। 'তৃণমূলের ঝান্ডা ধর না হলে এলাকা ছাড়', বলে বিজেপি কর্মীকে তুলে নিয়ে গিয়ে মারধর ও গালিগালাজের অভিযোগ উঠেছে রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে। এনিয়ে থানায় অভিযোগও দায়ের হয়েছে। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।


লোকসভা নির্বাচনে বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি  প্রার্থী দিলীপ ঘোষ পরাজিত হওয়ার পর থেকেই বিজেপি কর্মীদের তৃণমূলের কার্যালয়ে ডাকা হচ্ছে। না গেলে জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, তারপর গালিগালাজ আর মারধর করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে। একইভাবে দুর্গাপুরের নিউ টাউনশিপ থানায় ভ্যাম্বে কলোনি এলাকার রঞ্জিত অধিকারী নামের সক্রিয় এক বিজেপি কর্মীকে ওই এলাকারই তৃণমূল কার্যালয়ে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠল। কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে এলাকারই তৃণমূলের দুই কর্মী অভিজিৎ ঘোষ, শতদল রায়কে। সেই অভিযোগ তুলেই তৃণমূলের ওই দুই কর্মী- সহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে দুর্গাপুরের নিউ টাউনশিপ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। যদিও এটি ভিত্তিহীন অভিযোগ বলে পাল্টা সরব হয়েছে তৃণমূল।


রঞ্জিত অধিকারীর অভিযোগ, নির্বাচনের ফলাফলের পর থেকেই তাঁর বাড়িতে গিয়ে হুমকি দিয়ে আসছিল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। তৃণমূলের কার্যালয়ে তাঁকে যাওয়ার জন্যও বলা হচ্ছিল। কিন্তু তিনি না যাওয়াই বৃহস্পতিবার রাতে ঘাড় ধরে তুলে নিয়ে যায় তৃণমূল আশ্রিত দুই দুষ্কৃতী অভিজিৎ আর শতদলের নেতৃত্বে। দলীয় কার্যালয়ে বলা হয় এলাকায় থাকতে হলে তৃণমূলের ঝান্ডা ধরতে হবে না হলে এলাকা ছাড়তে হবে। সেখানে মারধরও করা হয়। 


বর্ধমান-দুর্গাপুর বিজেপির সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক অভিজিৎ দত্ত বলেন, "দিকে দিকে আমাদের কর্মীরা ঘরছাড়া এবং আক্রান্ত। রঞ্জিতকেও মারধর করা হয়েছিল। তুলে নিয়ে গিয়েছিল তৃণমূল কর্মীরা । পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।"  


যদিও পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূলের সহ সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায় বলেন, "এইসব বিজেপির নাটক। বাংলা থেকে বিদায়ের পথে, তাই কী করবে খুঁজে পাচ্ছে না বিজেপি। তাই তৃণমূলের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছে।"


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে