কলকাতা: কোথাও ১০০০ দিন, কোথাও ৩০০ দিন, কোথাও ৪০০ দিন- চাকরির দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে রাস্তায় বসে আন্দোলন করছেন (Job Seekers Agitation) চাকরিপ্রার্থীরা। এবার তাঁদের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হতে পারে? সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তারই পরামর্শ দিলেন কলকাতার হাইকোর্টের (High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায় (Abhijit Ganguly)।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, 'যাঁরা রাস্তায় বসে আছেন, তাঁরা আদালতে আসছেন না কেন? যাঁরা এতদিন রাস্তায় বসে আছেন, তাঁরা আদালতে আসছেন না কেন? ওঁদের মধ্যে থেকেই তো অনেকে আদালতে এসে চাকরি নিয়ে চলে গিয়েছেন। আমার মাঝে মাঝে প্রশ্ন জাগে তাঁরা সকলে প্যানেলে, ওয়েটিং লিস্টে আছেন তো? তাঁদের কোনও কোনও রাইট ক্রিয়েট হয়েছে?' তিনি আরও বলেন, 'অনেকে তো আদালতে আসছেন। তাঁরা ওখানে বসে আছেন কেন? তাঁরা পিটিশন করে আদালতে আসুন না। তাঁরা সকলে প্যানেলে আছেন, লিস্টে আছেন তো?' বিচারপতি মন্তব্য, 'একটা পরীক্ষা হয়েছিল, তারপর প্যানেল তৈরি হয়েছিল, ওয়েটিং লিস্ট (Waiting List) তৈরি হয়েছে। তাঁদের যদি এত স্ট্রং রাইট থাকে তাঁরা তাহলে আদালতে আসছেন না কেন? তাঁরা পিটিশন করে আদালতে আসুন না। আপনাদের যদি রিলিফ প্রাপ্য থাকে তাহলে অবশ্যই পাবেন।' যাঁরা চাকরিপ্রার্থী তাঁরা নিজেদের যোগ্য বলে দাবি করছেন, সাংবাদিকদের এমন মন্তব্যে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্য়ায় বলেন, 'প্রত্যেকেই মনে করতে পারেন তাঁরা যোগ্য চাকরিপ্রার্থী। একটা তো পরীক্ষা হয়েছিল। তাঁরা তালিকায় আছে কিনা দেখতে হবে। আপনাদের যদি সত্যিই কারণ থাকে বসে থাকার, তাহলে রাস্তায় বসে না থেকে আদালতে আসুন। নয়তো ২০০ বছর রাস্তায় বসে থেকেও কিছু হবে না।' আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীদের আদালতে আসার পরামর্শ দেন তিনি।



চাকরির দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে চলছে আন্দোলন (Recruitment Scam Case)। রাস্তায় বসে আন্দোলন করছেন চাকরিপ্রার্থীরা। কখনও পথনাটিকা, কখনও গান-কবিতা বেঁধে দাবি তুলছেন তাঁরা। চলছে মিছিলও। রাস্তায় বসে থাকার ১০০০ দিনও পেরিয়েছেন চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন। বুধবার তাঁর বাসভবনে SLST-চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ নানা দাবি নিয়ে যান। তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন বিচারপতি, মামলা লড়ার পরামর্শ দেন। তারপরেই রাস্তায় বসে যাঁরা চাকরির দাবিতে আন্দোলন করছেন, তাঁদের প্রসঙ্গ নিয়ে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। এবার তাঁদেরকেই আদালতে আসার বার্তা দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। 


আরও পড়ুন: 'ভগবান উদ্ধার করুন', বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বাড়ির সামনে চাকরিপ্রার্থীরা