সৌভিক মজুমদার এবং  ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, কলকাতা : অবসরের পর সরকারি সুবিধা পাচ্ছেন না। প্রবীণ এক স্কুল শিক্ষকের অভিযোগের প্রেক্ষিতে, রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে কার্যত বিরক্তি প্রকাশ করলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বললেন, কী হচ্ছে এ রাজ্যে। আমাকে আর কিছু বলতে বাধ্য করবেন না। 


'ভগবান বৃদ্ধ হয়েছেন, গোলযোগ সইতে পারেন না' দক্ষিণ ২৪ পরগনার এক স্কুল। শিক্ষকের অবসরকালীন সুযোগ সুবিধা না পাওয়ার অভিযোগ সংক্রান্ত মামলায়, রাজ্য সরকারের ভূমিকায় এভাবেই বিরক্তি প্রকাশ করলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ক্ষুব্ধ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় সোমবার এজলাসে বললেন, ভগবান বৃদ্ধ হয়েছেন, গোলযোগ সইতে পারেন না। 


গোসাবার ছোট মোল্লাখালি (পূর্ব) প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকতা করতেন কানাই চট্টোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, অসুস্থতার কারণে, ২০০৮ সালে ৩ মাসের জন্য ছুটি নেন। অভিযোগ, তারপর আর তাঁকে স্কুলে যোগ দিতেই দেওয়া হয়নি। এরপর, ২০১৪ সালে অবসরগ্রহণের পর থেকে কোনও সরকারি সুযোগ সুবিধাও তিনি পাচ্ছেন না বলে দাবি। 


আরও পড়ুন, বিশ্বের 'সবচেয়ে ধনী' দেবতা, ভক্তদের মানত পূরণ হয় এই মন্দিরেই


অবসরকালীন সুযোগ সুবিধা না পেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। সেই মামলাতেই এদিন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় কার্যত বিরক্তির সুরে বলেন, সরকারি স্কুলে পড়াশোনা ঠিকভাবে হচ্ছে না। আগে জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ করত, এখন অন্য কিছু করে। স্কুল বাদ দিয়ে ব্যবসা করে। আমাকে আর কিছু বলতে বাধ্য করবেন না।  


শিক্ষায় নিয়োগে ভয়ঙ্কর দুর্নীতি ঘিরে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। এরইমধ্য়ে প্রাপ্য পরিষেবা মিলছে না বলে অভিযোগ আনলেন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক।                                                                  


এসএসসি-র ৪ মামলায় সিবিআইয়ের চূড়ান্ত চার্জশিটে নিয়োগ দুর্নীতির মূল চক্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কীভাবে চাকরি বিক্রি, গোটা পরিকল্পনাই প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর, উল্লেখ চার্জশিটে, খবর সূত্রের। ৪টি মামলার চূড়ান্ত চার্জশিটের সবকটিতেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম, খবর সূত্রের। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে রয়েছে তাঁর প্রাক্তন পিএ সুকান্ত আচার্যর নামও, খবর সূত্রের। পার্থর চাকরি বিক্রি সংক্রান্ত নির্দেশ যেত প্রাক্তন পিএ সুকান্তর কাছে, খবর সূত্রের। চার্জশিটে আছে এসএসসি-র প্রাক্তন চেয়ারপার্সন শর্মিলা মিত্রর নামও, খবর সূত্রের। আছে গাজিয়াবাদের নাইসা আধিকারিক পঙ্কজ বনসলের নামও, খবর সূত্রের। এই পঙ্কজ বনসলের বাড়ি থেকেই মিলেছিল ওএমআর শিট।