নয়া দিল্লি: বেঙ্কটেশ্বর মন্দির হল ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের চিত্তুর জেলার অন্তর্গত তিরুপতির তিরুমালা শৈলশহরে অবস্থিত একটি অন্যতম প্রধান বিষ্ণু মন্দির। এই মন্দিরের প্রধান উপাস্য দেবতা হলেন হিন্দু দেবতা বিষ্ণুর অবতার বেঙ্কটেশ্বর। 


তিরুমালা বেঙ্কটেশ্বর মন্দির তিরুপতি মন্দির, তিরুমালা মন্দির ও তিরুপতি বালাজি মন্দির নামেও পরিচিত। কথিত আছে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী দেবতা হলেন তিরুপতি বালাজি। মানুষ বিশ্বাস করেন বালাজির কাছে কিছু চাইলে তিনি কখনোই ফেরান না। বালাজির কাছে কিছু মানত করলে তা পূরণ হবেই। এমন কোন মানুষ নেই যারা বালাজির কাছে যান না। মেগাস্টার, রাজনীতিবিদ, দেশের বাইরের কূটনীতিবিদরাও নিজেদের মনের আসা পূরণ করতে ছুটে যায় বালাজির কাছে। 


তিরুপতি বালাজির মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা হলেন বিজয়নগরের রাজা শ্রীকৃষ্ণ দেবরায়। প্রায় ৪ বর্গকিমি এলাকা নিয়ে মন্দিরকে কেন্দ্র করে তিরুমালা শহর। মন্দির সংলগ্ন স্বামী পুষ্করিণীর জলে স্নান করে পবিত্র হয়ে বালাজির দর্শন করার প্রথা রয়েছে। বেশিভাগ ভক্তরা আগে থেকেই বালাজি দর্শনের টিকেট কেটে রাখেন। 


তামিল ভাষায় তিরুমালা কথার অর্থ হল পবিত্র পাহাড়। সমতলে তিরুপতি স্টেশন লাগোয়া বাসস্ট্যান্ড থেকে বাসে চড়ে পাড়ি দিতে হয় ৮৬০ মিটার উচ্চতার তিরুমালা মন্দির শহরে। চড়াই উৎরাই, ৫৭টি হেয়ার পিন বেন্ড পেরিয়ে ২৫ কিমি (৪৫ মিনিট) এই পাহাড়ি পথের শোভা আপনার ট্রেনযাত্রার ক্লান্তি ভুলিয়ে দেবে। উৎসাহী বা যারা মানত করেন তাদের জন্য অ্যালিপিরি থেকে ছাউনিযুক্ত হাঁটা-পথ (১৫ কিমি) রয়েছে। 


বালাজির প্রসাদ হিসেবে ভক্তকে লাড্ডু অথবা পোলাও প্রসাদ দেওয়া হয় | মন্দিরে কোন উৎসবের সময় লক্ষ লক্ষ মানুষ ভিড় করেন বালাজির দর্শন পাওয়ার জন্য | বালাজির মন্দির ছাড়াও তিরুপতি তে আসে পাশে রয়েছে প্রচুর মন্দির |


আরও পড়ুন, মঙ্গলবার এই কাজ করলে চরম রুষ্ট হন বজরঙ্গবলী, রোষে জেরবার হয় জীবন


বালাজির মন্দির ছাড়াও মন্দির চত্বরে রয়েছে বেশ কিছু আকর্ষণীয় দেখার জায়গা। যেমন টাকা পয়সার গণনা ঘর, দেবতার পালকি, উৎসবে ব্যবহৃত বাদ্যযন্ত্র, রাজা মহারাজাদের তৈলচিত্র, পেল্লায় সাইজের দাঁড়িপাল্লা ইত্যাদি। বালাজির মন্দিরে ফুল ফলের ডালি দিয়ে পূজো দেওয়ার রীতি নেই। ভগবানের উদ্দেশে প্রণামী হিসাবে অর্থহুন্ডিতে (পয়সার ভান্ডার) দান করাই নিয়ম। সমস্ত ভক্তরা ওই হুন্ডিতেই দেন করেন এবং নিজের মনের আসা বালাজিকে জানায়। অন্যদিকে ভক্তরা মন্দিরের বাইরে একটি স্থানে কর্পূরের দীপ জ্বালিয়ে, নারকেল ফাটিয়ে অর্ঘ্য দেয় বালাজির উদ্দেশ্যে।