কলকাতা : SIR-এর খসড়া তালিকায় 'বাংলাদেশি'। বাদ গেল ভারতীয়ের নাম ! খসড়া তালিকায় নামই উঠল না বেহালার বাসিন্দা সুব্রত মিস্ত্রীর। রাজ্য সরকারি কর্মচারী তিনি। ২০০২-এর তালিকাতেও নাম ছিল। ভোটের ডিউটিও করেন রাজ্যের সরকারি কর্মী সুব্রত মিস্ত্রী। ভারতীয় হয়েও SIR-এর খসড়া তালিকায় নাম নেই তাঁর। বেহালার সুব্রত মিস্ত্রীর এনুমারেশন ফর্ম চলে গেছিল সোনারপুরের সুব্রত মিস্ত্রীর কাছে। 

Continues below advertisement

এ প্রসঙ্গে বেহালার বাসিন্দা সুব্রত মিস্ত্রী বলেন, "খসড়া তালিকায় আমি দেখতে পেলাম, আমার নাম আসেনি। ওইখানে যে সুব্রত মিস্ত্রী তাঁর নাম এসেছে। কীসের SIR ? আমার ২০০২ সালের ভোটার লিস্টে নাম রয়েছে। আমার বাবা-মায়ের নাম রয়েছে। ২০০২ সালের আগে আমার ভোটার কার্ড বানানো। অথচ, আমি দেখলাম, আমি খসড়া লিস্ট থেকে বাইরে বেরিয়ে গেলাম। অথচ সেই লোকটি...যিনি বাংলাদেশ থেকে...তিনি ওখানে বললেন...মিডিয়ার সামনে স্বীকার করলেন যে বাংলাদেশ থেকে এসে ভোটার কার্ড বানিয়েছেন, তাঁর নাম তালিকাভুক্ত করা হল। অথচ, আমি বাদ গেলাম। আমি নির্বাচন কমিশনের কাছে জানতে চাই, দোষটা কার ? আমার এপিক নম্বরটা তুলে নিয়ে গিয়ে ওখানে সুব্রত মিস্ত্রীর নামে...তাঁর বাবার নাম-আমার নাম একই করে দিয়ে বানিয়ে কে দিল ? সেটা খুঁজে বের করার দায়িত্ব কার ? আমি এখন বাইরে। আমি সরকারি কর্মচারী । প্রতিবার ভোটের ডিউটিতে যাই। ভোটের যে দায়িত্ব হয় তা ঠিকভাবে পালন করি। তা সত্ত্বেও আমি এই লিস্টের বাইরে। জবাবটা কে দেবে ? নির্বাচন কমিশনকে দিতেই হবে এর জবাব।" 

অভিযোগকারী সুব্রত মিস্ত্রীর বাবা রঞ্জিত মিস্ত্রী বলেন, "এখন আমি তো চিন্তা করছি। ওর জন্ম এখানে। পড়াশোনা এখানে। ভোট দিয়েছে। তারপরে তার নামটা কী করে উধাও হয়ে যায় ! এজন্য দায়ী কে ? ওর ভোটের ডিউটি পড়ে। এখন ডিউটি বন্ধ করে দিয়ে ভোট দেবে ? এখন এর জন্য দায়ী কে ? এজন্য আমরা ক্ষতিপূরণ চাই।"  

Continues below advertisement

এই জটিলতা নিয়ে সোনারপুর উত্তরের বিএলও সমীরণ রায় বলেন, "ওঁর (সোনারপুরের সুব্রত মিস্ত্রীর) নামই আছে। তার কারণটা হচ্ছে, ওঁর ফর্মটা যেহেতু সাবমিট করা হয়েছে। যখন এনুমারেশন ফর্ম এসেছিল, তাতে আমার এখানকার সুব্রত মিস্ত্রীর ছবি ছিল। তাঁর নামও ভোটার লিস্টে রয়েছে। সেজন্য তাঁকে ফর্ম দেওয়া হয়েছে। সেটাই সাবমিট হয়েছে। তারজন্য খসড়া লিস্টে ওঁর নামটা এসেছে। আমাকে এ পর্যন্ত করতে বলা হয়েছে।"

এ প্রসঙ্গে সোনারপুর উত্তরের ভোটার সুব্রত মিস্ত্রী বলেন, "এটা (কার্ড) আমার ২০১৭ সালে করা হয়েছে। ক্যানিং...থেকে জমা করে, লাইনে দাঁড়িয়ে আমরা...। হ্যাঁ, আমার জন্ম বাংলাদেশে। আমি এখানে ছোটবেলায় চলে এসেছি। কাউকে দিয়ে কার্ড বানাইনি। আমরা বিডিও-র থেকে জমা করে করা হয়েছে।"