গৌতম মণ্ডল, পাথরপ্রতিমা: তৈরি হওয়ার পর এক বছরও গেল না। জলোচ্ছ্বাসে সাগরে তলিয়ে গেল কংক্রিটের নদীবাঁধ। নোনাজল ঢুকে প্লাবিত পাথরপ্রতিমার গোবর্ধনপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা। জলমগ্ন একশোর বেশি কাঁচা বাড়ি, পুকুর ও কয়েকশো বিঘা চাষের জমি।
তলিয়ে গেল কংক্রিটের নদীবাঁধ: যেদিকে চোখ যায় শুধুই জল আর জল। পূর্ণিমার কটালে জলোচ্ছ্বাসের জের, সুন্দরবনের প্রান্তিক জনপদ পাথরপ্রতিমার গোবর্ধনপুরে তলিয়ে গেল সদ্য তৈরি হওয়া কংক্রিটের বাঁধ। যার জেরে প্লাবিত বাঁধ লাগোয়া বিস্তীর্ণ এলাকা। নোনা জল ঢুকেছে একশোরও বেশি কাঁচা বাড়ি, মাছের পুকুর ও কয়েক’শ বিঘা চাষের জমিতে। গত তিন ধরে নোনা জলে জেরবার এলাকার বাসিন্দারা। অনেকে জলমগ্ন বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন। প্লাবিত এলাকার বাসিন্দাদের জন্য ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে ক্ষোভ এলাকাবাসীর। সামনে আরও বড় কটাল আছে। সেই কটালে আরও বেশি এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কায় এখন থেকে ঘুম উড়েছে বাসিন্দাদের। তৃণমূলের পক্ষ থেকেও নতুন বাঁধ তৈরির আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীর নজরে আনা হয়েছে বলে জানান পাথরপ্রতিমা পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ সৌরভ দাস।
বঙ্গোপসাগরের উপকূলে জি-প্লট পঞ্চায়েতের গোবর্ধনপুর গ্রাম। এটাই এ রাজ্যের প্রান্তিক জনপদ। বিগত কয়েক বছর ধরে ভাঙনে জেরবার এই এলাকা। ভাঙন রুখতে গত তিন বছর আগে কংক্রিট বাঁধ তৈরির পরিকল্পনা করে রাজ্য সরকারের সেচ দফতর। প্রায় ৪৪ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়। সেই কাজ ধীরগতিতে এগোয়। বাঁধের কাজ শেষ হয় গতবছর। এবার সেই কংক্রিট বাঁধের ১২০০ মিটার ধুয়েমুছে সাফ হয়ে গিয়েছে। সমুদ্র ও লোকালয় মিলেমিশে একাকার। জোয়ারের জল ঢুকছে, বের হচ্ছে। বাঁধ নির্মাণে দুর্নীতি ও পরিকল্পনায় ত্রুটি নিয়ে সরব হয়েছেন এলাকার দুর্গত বাসিন্দারা।
চলতি সপ্তাহেই ভয়াবহ ভাঙনের মুখে পড়ে রাজ্যের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র গঙ্গাসাগরের কপিলমুনির আশ্রম। আজও ১-৫ নম্বর পর্যন্ত স্নানঘাটের রাস্তা রবিবার জলোচ্ছ্বাসে তলিয়ে যায়। সিভিল ডিফেন্সের তরফে সমুদ্রে নামতে নিষেধ করা হয়। সমুদ্র পাড়ের অসংখ্য অস্থায়ী দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: South 24 Parganas: গলা টিপে ধরে কষিয়ে থাপ্পড়, সরকারি অফিসে তৃণমূল নেতার দাদাগিরি